রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনের মধ্যেই মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে সকল অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
মানববন্ধনে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) ও শিক্ষক লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রদের ছাত্রত্ব বাতিলসহ লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিও জানান তারা। এছাড়া দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ সময় ইউট্যাব রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা যদি এর (শিক্ষক লাঞ্ছনা) সুষ্ঠু বিচার না করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে আমাদেরও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে। আমাদের দাবি হলো চিহ্নিত এই সন্ত্রাসীদের (লাঞ্ছনায় জড়িতরা) স্থায়ী বহিষ্কার এবং যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে, তাদের সনদ বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া যারা রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী আছে, তাদের প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে।
অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, এই প্রশাসন ৯ মাসে অনেক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যার একটিও আলোর মুখ দেখেনি। আমরা আর তদন্ত কমিটিতে ক্ষান্ত থাকতে চাই না। বিচার নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরব।
শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক রোকসানা বেগম বলেন, আমরা আজ ছাত্রদের কর্তৃক আমাদের উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মারধর ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে এখানে দাঁড়িয়েছি ৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যদি বিচার করা না হয়, তাহলে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটবে।
এদিকে সরেজমিন দেখা যায়, প্রশাসন ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দীনের দপ্তরসহ সব দপ্তর তালাবদ্ধ রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে চিকিৎসা, পরিবহনসহ জরুরি সেবাসমূহ কর্মসূচির আওতামুক্ত রয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। পরে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও অফিসার্স সমিতি কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারা এ অবস্থান ও মানববন্ধন পালন করেন।