আসন দেওয়ার অর্থ এই নয় যে তাদের এমপি বানিয়ে দেওয়া : ডা. সায়ন্থ

চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ বলেছেন, আসন দেওয়ার অর্থ এই নয় যে তাদের এমপি বানিয়ে দেওয়া। এমপি জনগণই বানাবে ভোট দিয়ে। কিন্তু জোট যখন হয় তখন নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে একে অপরকে আসন ছাড় দেয়।

সম্প্রতি এক ভারতীয় গণমাধ্যমে বিএনপির কাছে জামায়াতে ইসলামী ৩০টি আসন চেয়েছে সংক্রান্ত এক সংবাদ প্রকাশ হয়।

তারই প্রেক্ষিতে এক টেলিভিশনের টক শোতে কথা বলেন তিনি।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সামনের যে নির্বাচনটা হতে যাচ্ছে পতিত ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ পলাতক এবং এইখানে গণতন্ত্রবিরোধী দল দরকার আছে। এখানে একটা দল সরকার গঠন করলে বা জোট করলে আরেকটা জোট বা দলকে বিরোধী দল হতে হবে। রাজনীতির মাঠে এই মুহূর্তে প্রধান দুইটা দল হচ্ছে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী।

সায়ন্থ বলেন, ‘বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিনের জোট সঙ্গী। তারা একসঙ্গে নির্বাচন করেছে। এর আগে জোটবদ্ধভাবে ২০০১ সালে ইলেকশন করেছে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী। সেখানে বিএনপি কি জামায়াতে ইসলামীকে আসন দেয়নি? যে দুইটা নির্বাচনে জামায়াত ১৭ এবং ১৮টা করে সিট পেয়েছিল ’৯১-এ, সেটা অলিখিত সমঝোতা ছিল।

আর ২০০১-এ প্রকাশ্য জোটের সমঝোতা ছিল। এমনকি ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার অধীনে যে নির্বাচনটা গেল জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপিসহ জোট করে। সেই জোটেও কি জামায়াতের ২২ জন নেতাকে বিএনপি ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে আসন দেয়নি?’

সায়ন্থ আরো বলেন, ‘সংসদে গণতন্ত্র কার্যকর করতে শক্তিশালী একটা বিরোধী দলও দরকার হয়। সুতরাং সেই প্রেক্ষাপটে আগে বিএনপি বলতো জাতীয় সরকার গঠন করবে। যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে ছিল সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে সরকার গঠন করবে।

সেসব কথা বিএনপি অতীতে বলেছে। সেখান থেকে আবার আস্তে আস্তে সরেও এসেছে যে, যারা একসঙ্গে জাতীয় সরকার গঠন করতে আসবে না, ইচ্ছা প্রকাশ করবে না তাদেরকে বিএনপি নেবে না। পরে একসময় স্পষ্টই করেছে যে জামায়াতকে এই সরকারে বিএনপি নিতে চায় না। জামায়াতে ইসলামীও তাদের মতো করে একটা জোট গঠন করে হোক, যুগপথ হোক, যেভাবে হোক একটা বলয় সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ফলে এই আসন দেওয়া নেওয়া বা সমঝোতার প্রসঙ্গটা এখন একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক।’

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হলফনামায় বিবরণ দিলেন সারজিস আলম Dec 31, 2025
img
শেষবার গুলশানের বাসায় খালেদা জিয়া Dec 31, 2025
img
১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ হচ্ছে অতিরিক্ত মোবাইল সিম Dec 31, 2025
img
ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 31, 2025
img
ইয়েমেনে সৌদি হামলার পর আমিরাত সেনা প্রত্যাহার শুরু Dec 31, 2025
img
অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বেগম খালেদা জিয়া: ড. কামাল Dec 31, 2025
img
উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে ১-১ এ ড্র ইউনাইটেডের Dec 31, 2025
img
বেগম জিয়া নিথর দেহে শেষবার ফিরছেন গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় Dec 31, 2025
img
ম্যাডাম আমাকে মিনু বলে ডাকতেন: মিজানুর রহমান মিনু Dec 31, 2025
img
আজ সাধারণ ছুটি Dec 31, 2025
img
এবার খল নায়িকার চরিত্রে কারিনা কাপুর! Dec 31, 2025
img
খালেদা জিয়ার জানাজা-দাফন ঘিরে নিরাপত্তায় ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন Dec 31, 2025
img
কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইট : আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর বিধি-নিষেধ Dec 31, 2025
img
নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র Dec 31, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান ১২তম Dec 31, 2025
img
রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ৮.৪ ডিগ্রি Dec 31, 2025
img
ফের জুটি বাঁধছেন শন-সৃজলা! Dec 31, 2025
img
খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় ছারছীনা পীরের দোয়া Dec 31, 2025
img
২য় বিয়ে নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটালেন মালাইকা! Dec 31, 2025
img
আমার কাছে এমপি হওয়ার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ জনগণের সামগ্রিক স্বার্থ: আসিফ মাহমুদ Dec 31, 2025