‘জিতলে শুরুতেই বঞ্চিতদের অধিকার ফিরিয়ে দেব’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ২৫ অক্টোবর। দুই বছর মেয়াদি (২০১৯-২০২১) এই নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন অভিনেতা ইলিয়াস কোবরা। মূলত এবার জায়েদ খানের বিপরীতে লড়বেন তিনি।

নির্বাচন ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফোনে তার সাথে কথা বলেছেন বাংলাদেশ টাইমস প্রতিবেদক যাহিন ইবনাত।

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কী মনে হচ্ছে?

সত্যিকার অর্থে এই নির্বাচন নিয়ে আমার এখনো কেমন কেমন লাগছে। শিল্পী সমিতির আগে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে তার মতো মনে হচ্ছে না এবারের পরিস্থিতি। এখনো সন্দেহ লাগছে। তবুও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপর আমার যথেষ্ট ভরসা আছে। উনি একজন সৎ মানুষ, যোগ্য মানুষ। উনার উপরই ভরসা করি।

নির্বাচনে জয় নিয়ে কতটুকু আশাবাদী?

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে আমার প্রায় তিনযুগ শেষ হতে চলেছে। সে হিসেবে মনে করি, সম্মানিত শিল্পীরা, ভোটাররা আমাকে এবার শেষবারের মতো ভোট দিবেন। আমি মনে করি বিগত দুই বছরে বর্তমান কমিটির লোকেরা কোনো কাজই করেনি। ২০০০ সালে আমি যখন সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলাম তখন ১২০০ লোকের আয়োজন করে বনভোজন করেছিলাম। সেখানে স্পন্সরের মাধ্যমে প্রতিটি মহিলা সদস্যদের জন্য শাড়ি, বাচ্চাদের জন্য স্কুল ব্যাগের ব্যবস্থা করেছিলাম। শিল্পী সমিতির ইতিহাসে সেটি ছিল প্রথম বনভোজন। মিলাদ, ইফতার এখন যা হয়, এগুলো আমিও করেছিলাম। তাহলে উনারা কী উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন?

উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে উনারা একটি কাজই করেছেন, ১৮১ জন সম্মানিত ভোটারদের ভোট অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। এটি কী ভালো কাজ নাকি খারাপ কাজ, সেই সিদ্ধান্ত সকলের।

নতুন যারা ভোটার হয়েছে তাদের নিয়ে কী ভাবছেন?

আমার বিশ্বাস, নতুন ভোটাররা ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিবে। যাকে উনারা সঠিক মনে করবেন তাকেই ভোট দেবেন। সেটি আমিও হতে পারি বা বিদায়ী কমিটির লোকও হতে পারে। এখানে দক্ষতা, সিনিয়র-জুনিয়র, সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা এসব দেখেই ভোটাররা ভোট দিবে বলে আমি মনে করি।

জয়ী হলে কোন বিষয়টি আগেই গুরুত্ব দিবেন?

যারা ভোটার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের প্রথমেই অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। দ্বিতীয়ত, যেসব শিল্পীদের বয়স ৬০ এর উপরে তাদের জন্য প্রতি মাসে বয়স্ক ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করবো। এছাড়াও আনুষঙ্গিক সকলের মঙ্গলকর কিছু কাজ করবো।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চান

ভোটারদের নতুন করে আর কিছু বলার নেই। শুধু একটি কথাই বলবো, আমি শেষবারের মতো একবার সুযোগ চাই। সাধারণ সম্পাদক পদে পাশ করলে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সুযোগ-সুবিধায় পাশে থাকবো।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: