মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের টান বলাকিচরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গিয়াস উদ্দিন, হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্টু চেয়ারম্যান ও নাজমুলের নেতৃত্বে হঠাৎ যুবদল নেতা আনোয়ার প্রধানের বাড়িতে হামলা চালায়। একই সঙ্গে বিএনপির ওয়ার্ড কার্যালয়ও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় মুহূর্তেই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
সেই মামলার আসামি নাজমুল, গিয়াস উদ্দিন ও মন্টু চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর মঙ্গলবার রাতে এলাকায় আসেন। এ সময় থেকেই দুপক্ষের বিরোধ চরমে ওঠে।
একপর্যায়ে বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এতে ভাঙচুরের পাশাপাশি উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে শাহাদত, আসিফ, নজরুল ইসলাম ও শুক্কুর আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ঘটনার পর পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। স্থানীয়রা জানান, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি এবং গ্রামজুড়ে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ জানান, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এমন কিছু পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুপক্ষের কতজন আহত হয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এমআর