২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিবর্তনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভেন্যু রয়েছে এমন শহর ঝুঁকিপূর্ণ বা অনিরাপদ মনে হলে সরিয়ে নেয়া হবে ম্যাচ। বিশ্বকাপ নিরাপদ ও সফলভাবে আয়োজন করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানান ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্পের এ ঘোষণা বিভিন্ন মহলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে ফিফার ওপর ট্রাম্পের কর্তৃত্ব নিয়েও।
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে ১৬ ভেন্যু। যার মধ্যে ১১টি যুক্তরাষ্ট্রে। বাকি ভেন্যুর ৩টি মেক্সিকো এবং ২টি কানাডায়। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপ হতে চলেছে পরবর্তী আসরটি।
তবে এবার বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন নিয়ে নতুন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান, স্বাগতিক শহরগুলো নিরাপদ মনে না করলে সরিয়ে নেবেন বিশ্বকাপের ম্যাচ। ট্রাম্প প্রশাসনের তথাকথিত অভিবাসন ও অপরাধ দমন অভিযানে অসহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে এমন শহরগুলো থেকে ম্যাচ সরিয়ে নেয়া হতে পারে। অপরাধ প্রবণ শহরের কথা বলতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন শিকাগোর নাম। যদিও এ শহরে নির্ধারিত হয়নি বিশ্বকাপের কোনো ভেন্যু।
ট্রাম্প বলেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসি খুবই ভালো অবস্থায় আছে। আমরা মেমফিসসহ আরও কিছু শহরে যাচ্ছি। খুব শিগগিরই আমরা শিকাগোতেও যাচ্ছি। এ অভিযানের মাধ্যমে শহরগুলো বিশ্বকাপের জন্য নিরাপদ হবে। যদি আমি মনে করি কোনো শহর নিরাপদ নয়, তাহলে আমরা ভেন্যু অন্য কোথাও সরিয়ে নেব। গেল সপ্তাহে ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে ১১টি হত্যা ও ৩৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবুও সেখানকার গভর্নর বলেন, অপরাধের হার কমেছে। সেখানে এফবিআই ছিল তাই অপরাধ কমেছে। যদি কোনো শহরকে আমরা সামান্য পরিমাণেও ঝুঁকিপূর্ণ মনে করি, তাহলে আমরা সেখানে খেলা হতে দেব না। আমরা বিশ্বকাপের ম্যাচ অন্য কোথাও সরিয়ে নেব। তবে আমি আশা করি, এমনটা হবে না।’
এর আগে অপরাধ দমনের নামে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেন ট্রাম্প। এ নীতিতে অসহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে ডেমোক্র্যাট শাসিত ওয়াশিংটন ডিসির শহর সিয়াটল এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিস্কোর বিরুদ্ধে। ২০২৬ বিশ্বকাপে সিয়াটলের মাঠ লুমেন-এ ৬টি এবং সান ফ্রান্সিস্কোর লিভাইস স্টেডিয়ামে ৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা ট্রাম্প নীতিতে সহযোগিতা না করায় বাতিল হতে পারে এ দুই শহরের ম্যাচ।
নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে ভেন্যু পরিবর্তনে ট্রাম্প আদতে কোনো ক্ষমতা আছে কিনা। যদিও ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ট্রাম্পের। সেই সম্পর্ক ব্যবহার করেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ইএ/টিকে