ভারতের বিপক্ষে জয়ের অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘায়িত হলো পাকিস্তানের। তিন বছর আগে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে সর্বশেষ তারা জিতেছিল। এরপর সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপ ফাইনাল দিয়ে টানা ৮ ম্যাচে জিতেছে ভারত। নাটকীয় সেই ফাইনালে হারের পর পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ওপর কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি। তাদের বিদেশি লিগে খেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল!
পিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসার সুমায়ের আহমদ সায়েদ ক্রিকেটারদের জানিয়েছেন, ‘পিসিবি সভাপতির অনুমোদনক্রমে দেশের বাইরের কোনো (ফ্র্যাঞ্চাইজি) লিগে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) বা অনাপত্তিপত্র স্থগিত করা হলো। এই আদেশ বহাল থাকবে পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত।’
তবে ঠিক কী কারণে হঠাৎ এনওসি স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত সেই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। একই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও সুপার এবং ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পিসিবি পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে এনওসি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চায়। তবে শর্তগুলো পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি। পিসিবির লক্ষ্য– ক্রিকেটাররা যাতে জাতীয় প্রতিযোগিতায় ও ঘরোয়া লিগে মনোযোগী হন। এ ছাড়া এনওসি কতদিন পর্যন্ত স্থগিত থাকবে সেই সময়সীমাও এখনও স্পষ্ট নয়।
পিসিবির এই ঘোষণা ঠিক তখনই এলো, যখন একদিন আগে পাকিস্তানের এশিয়া কাপ ফাইনালে হার নিয়ে চুলছেড়া বিশ্লেষণ চলছে। পাকিস্তানের কায়েদ-ই-আজম ট্রফি এবং প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া লিগ শুরু হবে অক্টোবরে। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর শুরুর কথা থাকলেও এসব টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়া হয়। ক্রিকেটাররা যাতে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অংশ নেন সেটাই চাওয়া পিসিবির।
এদিকে, ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইএলটি২০। আগামীকাল (১ অক্টোবর) আসন্ন আসরের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন পাকিস্তানের ১৬ ক্রিকেটার। এর মধ্যে জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানও আছেন। এ ছাড়া ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে অন্যতম জনপ্রিয় অস্ট্রেলিয়ান টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশ। যেখানে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদিসহ ৭ পাকিস্তানি ক্রিকেটারের খেলার কথা রয়েছে।