বিদেশি শক্তির চাপে আ.লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ নেই : আবু হানিফ

কিশোরগঞ্জে কালীবাড়ি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক, কিশোরগঞ্জ-১ (সদর - হোসেনপুর) প্রার্থী আবু হানিফ। এসময় জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে যান তিনি।

পূজা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের আবু হানিফ বলেন, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার পূজা উদযাপন হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে। সরকার এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ। আওয়ামী লীগের আমলেও এমন উৎসবমুখরভাবে পূজা উদযাপন হয় নাই। পূজার সময় নানাভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিতো। এখন আওয়ামী লীগ পলাতক, ভারতে থেকে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের মানুষ নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা দেবে না।বাংলাদেশ সকল ধর্মের মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এভাবে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। যদিও আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে দেশকে সাম্প্রদায়িক হিসেবে প্রমাণ করার কিন্তু দেশের মানুষ বার বার প্রমাণ দিচ্ছে বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ।

আজকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখলাম প্রধান উপদেষ্টা বলছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয় নাই। তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। যেকোনো সময় তাদের কার্যক্রম সচল হতে পারে।

একটা কথা স্পষ্ট, আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে যেদিন পালিয়ে গেছে সেদিনই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। এই দেশের জনগণ তাদের নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে দেশে বিদেশের চাপে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে ফেরাতে দেশ বিদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদের শরীরে রক্ত থাকতে গণহত্যার বিচারের আগে বিদেশি শক্তির চাপে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ নাই। আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো আবারও রাজপথে নামতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে আরও একটি গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আল মোহাম্মদ মোস্তফা, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ইমন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পায়েল চৌধুরী, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক প্রমুখ।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নির্বাচন বানচাল ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই যুবদল নেতাকে হত্যা : নয়ন Nov 18, 2025
img
ভারতীয়দের নাগরিকদের জন্য দুঃসংবাদ! Nov 18, 2025
img
পিএসজির কাছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি এমবাপ্পের Nov 18, 2025
img
অখন্ড ২-এ আসছে সিজনের বড় মাস অ্যান্থেম Nov 18, 2025
img
বাজার নিয়ন্ত্রণে রোজার আগেই চাল ও গম আমদানি: অর্থ উপদেষ্টা Nov 18, 2025
img
শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা চেয়ে এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি Nov 18, 2025
img
আনসার বাহিনীর জন্য কেনা হবে ১৭ হাজার শটগান : অর্থ উপদেষ্টা Nov 18, 2025
img
জকসু নির্বাচনের জন্য প্যানেল ঘোষণা শিবিরের Nov 18, 2025
img
ভারত এখন উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় অস্থির : মোদি Nov 18, 2025
img
হারল্যান ছেড়েছেন আগেই, নতুন বিজ্ঞাপনে শাকিব খান Nov 18, 2025
img
বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিতে নেইমারকে ছয় মাস সময় ও চার শর্ত আনচেলত্তির Nov 18, 2025
img
জাপানে যাওয়ার প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট বাতিল করল চীন Nov 18, 2025
img
৫ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট Nov 18, 2025
img
৭৯ বাংলাদেশি জেলে সহ ৩ নৌকা জব্দ করে নিয়ে গেছে ভারতের কোস্ট গার্ড Nov 18, 2025
img
সুষ্মিাতা সেনের গল্প: ভয়কে জয় করে আবারো সেটে ফিরে আসা Nov 18, 2025
img
১১ দফা দাবিতে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের বিক্ষোভ Nov 18, 2025
img
ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরে ১২ দফা নাগরিক ইশতেহার প্রকাশ নাগরিক সমাজের Nov 18, 2025
img

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ আছে Nov 18, 2025
ইসলামে জুলুমকারীর শাস্তি | ইসলামিক জ্ঞান Nov 18, 2025
দেয়াল তুলে পথ বন্ধ—বাসিন্দাদের অভিযোগ ‘গায়ের জোরে দখল’ Nov 18, 2025