বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, যেখানে আলেম-ওলামারা দাড়ি রাখতে এবং মাথায় টুপি পরতেও ভয় পেতেন। বিএনপি বারংবার এ বিষয়গুলো তুলে ধরেছে।
তিনি বলেন, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যখন উপলদ্ধি করেছে হাসিনা কত বড় ফ্যাসিস্ট, তখন সবাই এক কাতারে এসেই গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব দাবি করলেও বিএনপি জনগণের সঙ্গে সেই কৃতিত্ব ভাগ করে নিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা বিএনপি আয়োজিত যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ওলামা-মাশায়েকদের ভূমিকা, দেশ পুনর্গঠনে ওলামা-মাশায়েকদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে দেশের ওলামা-মাশায়েকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছিল। আন্দোলনে আলেম-ওলামাদের রক্ত ঝরেছে। দেশের আলেম সমাজের প্রতি এই কৃতজ্ঞতাবোধ বিএনপির মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি কখনো দেশের জনগণের চিন্তার বাইরে যায়নি, আগামীতেও যাবে না। বিএনপি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আর সেই গণতন্ত্র মানে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। আগামী দিনে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যাদের পক্ষে রায় দেবে, তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। ধর্ম চর্চার বিষয়, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান; কিন্তু রাজনীতিতে ইসলামকে ব্যবহার করব, কিন্তু চরিত্রে ইসলামকে ধারণ করব না- এটি ইসলামের শিক্ষা নয়। তাই সবার চরিত্রে ইসলামকে ধারণ করতে হবে।
বিএনপি কুরআন সুন্নাহবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে বিশ্বাস করে না এবং করতে দেবে না।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ধর্মীয় চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সন্নিবেশ করেছিলেন। মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস এবং আস্থার কথাটিও উনি যুক্ত করেছিলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা মুফতি মুজিবুর রহমান, মাওলানা নাজির উদ্দিন, মাওলানা হামিদুল ইসলাম, মাওলানা বেলায়েত হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ড. মাসুদুর রহমান।
এমআর/টিকে