ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ ১৯ কিলোমিটার যানজট

শারদীয় দুর্গাপূজায় টানা চার দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ও আশপাশ থেকে গ্রামের পথে মানুষের ঢল নেমেছে। এতে প্রধান দুটি সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশেও গাড়ির ধীরগতি ও থেমে থেমে চলার খবর পাওয়া গেছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও ছুটির কারণে সড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি গাড়ির চাপ বেড়েছে। এতে যানবাহনের গতি কমে গিয়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

যাত্রীরা জানান, পূজার ছুটি শুরু হওয়ায় সবাই গ্রামের বাড়ি যেতে রওনা হয়েছেন। সাধারণ দিনে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত যেতে যেখানে আধাঘণ্টা সময় লাগে, আজ সেখানে তিন থেকে চার ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।

যাত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, প্রতি বছর পূজার ছুটিতে আমরা গ্রামে যাই। কিন্তু এ বছর যানজট এত ভয়াবহ যে, কখন পৌঁছাতে পারব সেটি নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।

শুধু চট্টগ্রামমুখী সড়ক নয়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও একই চিত্র। ভৈরব, নরসিংদী ও আড়াইহাজার অংশে যানবাহন ধীর গতিতে চলছে।

বাসযাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, সিলেট যেতে সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা লাগে। কিন্তু আজ সকাল থেকে রওনা হয়েছি, এখনো নরসিংদী পার হতে পারিনি।

একই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাচ্ছে, আর মালিকদের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

পুলিশ জানায়, ছুটির চাপের পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়া যুক্ত হওয়ায় সড়কে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। তবে গাড়ির চাপ অনেক বেশি হওয়ায় যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। একাধিক টিম কাজ করছে, আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জাতিসংঘের সতর্কবার্তা, মিয়ানমারে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় Oct 01, 2025
img
সংগ্রাম করা মানেই ব্যর্থ হওয়া নয় : ভাবনা Oct 01, 2025
img
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে তামিম, ‘ক্রিকেট শতভাগ হেরে গেল’ Oct 01, 2025
img
এবারের ভোট হবে দিনের বেলা, রাতে নয় : ধর্ম উপদেষ্টা Oct 01, 2025
img
দর্শকদের চমক দিতে ভৌতিক চরিত্রে রণবীর সিং Oct 01, 2025
img
তুরস্ক সফরে গেলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান Oct 01, 2025
img
জাল দলিলে আদিবাসীদের জমি দখলের অভিযোগে দুদকের মামলা Oct 01, 2025
img

রাতের আঁধারে ভয়াবহ ভূমিকম্প

ফিলিপাইনে বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা, পানি-বিদ্যুতের তীব্র সংকট Oct 01, 2025
img
বিসিবি নির্বাচনে সরকারের একটি গোষ্ঠী নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে: ইসরাফিল খসরু Oct 01, 2025
img
শেখ হাসিনা দেশটাকে তার বাপের মনে করতো: রিজভী Oct 01, 2025
img
আড়াইহাজারে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে প্রাণ গেল ১ যুবকের Oct 01, 2025
img
যুদ্ধাপরাধের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পেলেন কাবিলা Oct 01, 2025
img
আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ করবেন: তামিম Oct 01, 2025
img
খলনায়ক শাহজাদ আর নেই Oct 01, 2025
img
গোয়েন্দা সংস্থা ‘শিন বেত’র নতুন প্রধান নিয়োগ দিলো নেতানিয়াহু Oct 01, 2025
img
ট্রফি বিতর্কে প্রকাশ্যে মুখোমুখি নাকভি ও বিসিসিআই Oct 01, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহে সরকারি চাকরি ছেড়েছেন দেড় লাখ কর্মী Oct 01, 2025
img
নোংরামির সঙ্গে থাকতে চাই না বলেই সরে দাঁড়িয়েছি: তামিম Oct 01, 2025
img
বিশ্বের যেখানেই থাকুন, ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা : সিইসি Oct 01, 2025
img
খাগড়াছড়ির আন্দোলন পরিকল্পিত, জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: পুলিশ সুপার Oct 01, 2025