প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বিশ্বের যেখানেই থাকুন না কেন, আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় প্রবাসীরা এবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ইসির অফিসিয়াল ইউটিউবে চ্যানেলে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ উদ্যোগকে “দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক ঐতিহাসিক মাইলফলক” উল্লেখ করে সিইসি বলেন, প্রথমবারের মতো প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভোট প্রদানের সুযোগকে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় অনেক সহজ ও কার্যকর করা হচ্ছে। প্রবাস থেকে ভোট দিতে হলে আপনাকে অবশ্যই আউট অব কান্ট্রি ভোটিং এ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এ লক্ষ্যে খুব শিগগির আমরা ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটা মোবাইল অ্যাপ চালু করবো। আপনাকে আপনার মোবাইল ফোনে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করার পরে ওখানে একটা ইন্সট্রাকশনাল ভিডিও থাকবে যেখানে আপনার প্রতিটি স্টেপে আপনার ইন্সট্রাকশন পাবেন। কি করতে হবে এ বিষয়ে আপনি জানতে পারবেন।
সিইসি বলেন, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপসে আপনার রেজিস্ট্রেশনের সময় আপনাকে আপনার প্রয়োজন হবে এনআইডি কার্ড আপনার পাসপোর্ট ডিটেইলস লাগবে এবং প্রবাসে আপনার ঠিকানাটা দিতে হবে এই অ্যাপসের মাধ্যমে আপনার ফেস আইডেন্টিফিকেশন করতে হবে, লাইভনেস ডিটেকশন সম্পন্ন করতে হবে। এই কাজটি করার পরে আপনার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে আপনার প্রবাসের ঠিকানায় আমাদের ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে এবং ব্যালট পেপার আমাদের এখানে ফিরতে যে ডাক যেটা ফেরত পাঠানোর জন্য যে খাম সেটা আপনার প্রবাসের ঠিকানায় পৌঁছে দেবে।
তিনি আরো বলেন, আপনি ভোট দেওয়ার পরে শুধু খামটি পোস্ট অফিসে পোস্ট করবেন। এটা যথাযথ স্থানে আমাদের প্রদত্ত ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
আপনি যদি বাংলাদেশি হয়ে থাকেন এবং প্রবাসী হয়ে থাকেন এবং ভোট দিতে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই আপনাকে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগটা নিতে হবে। আমরা আশা করবো আমাদের সব প্রবাসী ভাইবোন এই সুযোগটা কাজে লাগাবেন।
সিইসি বলেন, ভোট সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পোস্টাল বিডি অ্যাপে পাবেন ইন্স্ট্রাকশনাল ভিডিওতে আমাদের অ্যাম্বাসি বা দূতাবাসগুলোতে পাওয়া যাবে। আমাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আমাদের সরকারি গণমাধ্যমের মাধ্যমেও আপনারা এই তথ্যগুলো পাবেন।
তিনি বলেন, একটা শিশু যখন যেমন প্রথম পদক্ষেপ নেয় এটা আমাদের প্রবাসী ভোটের জন্য এটা একটা প্রথম পদক্ষেপ, এটা একটা ঐতিহাসিক সূচনা। এই ঐতিহাসিক অভিযাত্রায় আমরা প্রবাসী ভাইদের সঙ্গে পেতে চাই এবং আমরা চাইবো আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এটা আরও কার্যকরভাবে আমরা এটা বাস্তবায়ন করতে পারবো এবং আমরা বর্তমান মোবাইল প্রযুক্তি এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আপনাদের ভোটদানের ব্যবস্থাকে আমরা অনেক সহজলভ্য এবং সহজতর করার উদ্যোগ নিয়েছি। এই প্রথমবারের মত নির্বাচন কমিশন এই এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপে আমরা একসঙ্গে শামিল হই এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা রাখি। আসুন আমরা একসঙ্গে নিশ্চিত করি বিশ্বের যেখানেই থাকি না কেন সব বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর যাতে শোনা যায়।
এমকে/এসএন