আওয়ামী লীগ না থাকায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে জামায়াত : জাহেদ উর রহমান

রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হিসেবে দেখা গেছে রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর। যদিও আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠবে কি না এ নিয়ে এখনো বিভ্রান্তি রয়েছে। ড. ইউনূসের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, এইবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসতে পারবে না। কিন্তু শুধু এইবার কেন? যদি তারা মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে শেষদিন পর্যন্ত তাদের ক্ষমতায় ফেরার কথা নয়।

সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেল জাহেদস টেইক-এ এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।

জাহেদ উর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যে সরকার, তারা ইচ্ছে করলে এক্সিকিউটিভ অর্ডারেই তা তুলে নিতে পারে। সেই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে। সরকার যদি এটা তুলে নেয় তাহলে আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনেই পার্টিসিপেট করতে পারে।

ব্যাপারটা এমন যে, একজন অপরাধীর বিচার চলবে কিন্তু তার জামিন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এর পেছনে একটি কারণ ছিল, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়াকে ইউরোপ বা আমেরিকার পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে সমর্থন করা হয়নি, বরং এ ব্যাপারে কিছুটা সংরক্ষিত ও খোলামেলা অবস্থান ছিল। এমনকি ড. ইউনূসও বহুবার এই বিষয়ে সরাসরি বিরোধিতা করেছিলেন।

তিনি বলেন, যদি আওয়ামী লীগের মাঠে ফিরে আসার পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে জামায়াতে ইসলামী নিজে অথবা কোনো প্রক্সির মাধ্যমে তা বাধাগ্রস্ত করার জোরালো চেষ্টা করবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনতে সরকার বিচারিক প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। বিচার চলছে এবং যদি বিচারের পর দলকে নিষিদ্ধ করা হয়, সেটিই হবে শেষ ফল। তবু বর্তমানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়; যদি সরকার চাইলেই যে নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রমে আরোপ করা হয়েছে তা তুলে নেয়, তাতে দলটি এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক ক্যালকুলেশন।
তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন, অন্তত এইবার আওয়ামী লীগ স্ব স্ব নামে নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা হয়তো স্বতন্ত্রভাবে বা অন্য কোনো পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

এবি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও সেনা-বিজিবির বাড়তি নিরাপত্তা Nov 18, 2025
img
সিলেট সীমান্তে ৫৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার ভারতীয় মাদক জব্দ Nov 18, 2025
img
গণভোটের ব্যালটে কী ধরনের প্রশ্ন থাকবে, চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ Nov 18, 2025
img
লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা : বিজেপির ‘মিশন বেঙ্গল’ শুরু Nov 18, 2025
img
সংগ্রাম থেকে সাফল্যের শিখরে শেহনাজ গিল Nov 18, 2025
img
পাকিস্তানের মেরুদণ্ড বাবর আজম : শাহীন শাহ আফ্রিদি Nov 18, 2025
img
শুল্ক বাধার মধ্যেই মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে Nov 18, 2025
img
চট্টগ্রামে যোগ দিলেন নতুন জেলা প্রশাসক Nov 18, 2025
img
কুড়িগ্রামে নাশকতার পরিকল্পনার সময় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Nov 18, 2025
img
নিখোঁজের ৩৩ বছর পর বাড়ি ফিরলেন মোবারক হোসেন Nov 18, 2025
img
রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি Nov 18, 2025
img
বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভিসা সাক্ষাৎকারে বিশেষ সুবিধার ঘোষণা ট্রাম্পের Nov 18, 2025
img
বঙ্গোপসাগরে ফের লঘুচাপের আভাস Nov 18, 2025
img
বিএনপি নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার Nov 18, 2025
img
আজ সরকারি দপ্তরগুলোতে যাচ্ছে না শেখ হাসিনা-কামালের রায়ের কপি Nov 18, 2025
img
কোচ-ম্যানেজারকে ছাড়াই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা Nov 18, 2025
img

জয়া আহসান

‘তার মতো মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার’ Nov 18, 2025
img
হাসপাতালে মারা গেলেন সংগীতশিল্পী হুমানে সাগর Nov 18, 2025
img
স্থগিতের শঙ্কায় ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ Nov 18, 2025
img

জিল্লুর রহমান

অপরাধের শাস্তি দরকার সেই বিষয়ে দেশের মানুষের মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই Nov 18, 2025