চলতি বছরের মার্চে যখন তামিম ইকবাল অসুস্থ হয়েছিলেন, তখন হাসপাতালে তার চিকিৎসার বন্ডে স্বাক্ষর করেছিলেন দেবব্রত পাল। সেদিন ম্যাচ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সাবেক এই ক্রিকেটার। বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে তামিমের মতো দেবব্রতও মনোনয়ন নেন। যদিও শেষ মুহূর্তে নিজের নাম প্রত্যাহার করেন তামিম। যা মানতে পারছেন না দেবব্রত। এ ছাড়া তিনি নির্বাচনের স্বচ্ছ ও সুন্দর পরিবেশ দাবি করেছেন।
আজ (শুক্রবার) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেবব্রত বলেন, ‘তামিম ইকবালের অনুপস্থিতি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে পীড়া দিয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতি কখনই কাম্য হতে পারে না।’ পরে নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কাউন্সিলরের কাছ থেকে অপ্রীতিকর পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা কখনোই কাম্য নয়। ক্যাটাগরি-৩ এ স্বনামধন্য সাবেক ক্রিকেট ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন সার্ভিসের গণ্যমান্য প্রাজ্ঞ ব্যক্তিরা আছেন। আমি চাই এখানে সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ থাকুক।’
বিসিবির প্রতি নির্বাচনী পরিবেশ প্রস্তুতের আহবান জানিয়ে দেবব্রত বলেন, ‘কেউ কোনো প্রলোভন ছাড়া একটি নৈব্যর্ক্তিক এবং নিরপেক্ষ জায়গা থেকে যেন ভোট প্রদান করতে পারেন, তাদের মতামত প্রদান করতে পারেন। সেজন্য বিসিবির কাছে অনুরোধ থাকবে যেন একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করে। দুই থেকে তিনজন কাউন্সিলর আমাকে কিছু অপ্রীতিকর বিষয় জানিয়েছেন। সে কারণে আমি মনে করি এখানে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা দরকার।’
নির্বাচনে দেবব্রত’র একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। যেখানে নির্বাচিত হওয়া নিয়েও আশাবাদী দেবব্রত, ‘ক্যাটাগরি-১ থেকে অনেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন কিংবা ক্যাটাগরি-২ নিয়েও আমি কথা বলছি না। আমি আমার ক্যাটাগরি-৩ নিয়ে কথা বলছি। আমি গেল ছয়মাস ধরে কাজ করে যাচ্ছি। এই ক্যাটাগরিতে যত কাউন্সিলর রয়েছেন, সকলের সঙ্গে আমি সশরীরে ও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছি। আমি ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি বলে হতাশ সাবেক এই ক্রিকেটার, ‘আমি খেলোয়াড়ি জীবনের পরেও ক্রিকেটারদের সঙ্গে আছি। এই জায়গা থেকে নিজেকে নিয়ে বেশ আশাবাদী আমি। আমি কাউন্সিলরদের বলেছি, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে আমি আলোর সহযাত্রী হতে চাই। টেস্ট স্বীকৃতি পাওয়ার পরে বাংলাদেশের ক্রিকেট যে জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল, টেস্ট খেলুড়ে বিভিন্ন দেশগুলোকে দেখলে, যে জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল আমরা সেখানে পৌঁছাতে পারিনি।’
‘আমি যদি আফগানিস্তানকে বিবেচনা করি, দেখতে পাব তারাও কিন্তু অনেকদূর এগিয়ে গেছে। তাদের অনেক ধরনের রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও। সেদিক থেকে আমাদের অনেক সামনে যাওয়ার সুযোগ ছিল। যেহেতু যেতে পারিনি, এ কারণেই আমি বলেছি, আমি আলোর সহযাত্রী হতে চাই’, আরও যোগ করেন দেবব্রত।
ইএ/টিকে