গোলের খেলা ফুটবল। তবে সেই গোল বৈধ-অবৈধ কি না সেই রায় দেন রেফারি। সবমিলিয়ে ফুটবল ম্যাচকে স্বচ্ছ ও নির্ভুল রাখতে রেফারির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ৯ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-হংকং এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে এএফসি রেফারিজ প্যানেল চূড়ান্ত করেছে। এই ম্যাচে বাঁশি বাজাবেন কুয়েতের রেফারি সাউদ এমএমটিএ আলসামহান।
কুয়েতের রেফারি সাউদ ২০২৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন। ফিফার ওয়েবসাইটে ২০২৫ সালের জন্য কুয়েতের ৬ জন আন্তর্জাতিক রেফারির নাম দেখা গেছে। এর মধ্যে তিনি অভিজ্ঞতার দিক থেকে চতুর্থ। রেফারির পাশাপাশি ভিডিও রেফারির কাজেও আলসামহানের দক্ষতা রয়েছে।
রেফারির মতো সহকারী দুই রেফারিও কুয়েতি। সউদ আল রাশেদী ও তালাল শামারাই দুই জনই ২০২৪ সালে সহকারী রেফারি হিসেবে আন্তর্জাতিক ব্যাজ পেয়েছেন। কুয়েতের ৮ জন আন্তর্জাতিক সহকারী রেফারি রয়েছে। বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচে খেলোয়াড় বদলে সমস্যা হওয়ায় চতুর্থ রেফারি আলোচনায় ছিলেন। এবার হংকং ম্যাচে চতুর্থ রেফারি হিসেবে থাকবেন সিরিয়ার ফেরাস তাউইল। রেফারির ম্যাচের আগে বা ম্যাচ চলাকালে অসুস্থ হলে তখন চতুর্থ রেফারি ম্যাচ পরিচালনা করেন। রেফারি এসোসরের দায়িত্বে থাকছেন ইরাকের খাদুম আল সাইদী। আর ম্যাচ কমিশনার দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপের আহমেদ শাহির। ম্যাচ অফিসিয়ালরা সবাই ৭ অক্টোবর ঢাকায় উপস্থিত থাকবেন।
৯ অক্টোবর ম্যাচ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হংকং ঢাকায় পৌঁছাবে ৬ অক্টোবর রাত ১টায়। ঢাকা স্টেডিয়ামে ম্যাচ হলেও তারা অনেক দূরে লা মেরিডিয়ানে থাকবেন বলে জানা গেছে। ৭ অক্টোবর উত্তরার দিকে কোনো মাঠে আর ম্যাচের আগেরদিন ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে পারেন হামজাদের প্রতিপক্ষ দলটি।
হংকং ম্যাচের দুই দিন আগে ঢাকায় আসলেও বাংলাদেশ অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে অবশ্য চার দিন আগে হংকং যাবে। ৯ অক্টোবর রাত ৮টায় ম্যাচ খেলে পরদিনই বাংলাদেশ হংকংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। বাংলাদেশ ১০ অক্টোবর সকালে ঢাকা ছাড়ার পর যাত্রাবিরতি দেবে থাইল্যান্ডে। ফলে তারা স্থানীয় সময় রাত ১০টায় গিয়ে হংকংয়ে পৌঁছাবে।
এএফসি-ফিফার নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে স্বাগতিক দল সফরকারীদের মাঠ ও অন্য সুযোগ-সুবিধা দিতে বাধ্য। এর আগে সেই দেশে পৌঁছালে সফরকারী দলকেই নিজেদের ব্যবস্থা করতে হয়। যে কারণে বাংলাদেশ কয়েকদিন আগে ভারতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছিল। হংকংয়ে কেমন হয় সেটাই দেখার বিষয়।
ফুটবলে চূড়ান্ত স্কোয়াড ২৩ জনের। বিদেশ সফরের সময় সাধারণত ২৩ জনই সফর করে। তবে স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ম্যাচের দিন সকালেও দল চূড়ান্ত করতে পারেন না। ফলে বাফুফেকে অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের খরচ বহন করতে হয়। তেমনি এবার হংকংয়ের জন্য বাফুফে ৪৫ জন ফুটবলারের ভিসার আবেদন করেছে ক্যাবরেরার দাবির প্রেক্ষিতে। এর মধ্যে ২০ জনের বেশিই হংকং সফর না করলেও বাফুফের ভিসা খাতে প্রায় ২ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়। কোচ ক্যাবরেরার জন্য বাফুফের এরকম অতিরিক্ত ব্যয় ও ভোগান্তি চলমান।
আইকে/টিকে