ম্যাচ শেষের সম্ভাব্য সময় ছিল রাত সোয়া দশটা। সেই ম্যাচ শেষ হলো সন্ধ্যা ছয়টার বেশ আগেই। একশ ওভারের লড়াই শেষ ৩৪ ওভার পাঁচ বলে। ম্যাচের চিত্রও অনুমান করে নেওয়া যায় এখান থেকেই। ব্যাটে-বলে ইংল্যান্ডের দাপুটে পারফরম্যান্সে উড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
১০ উইকেটের বিশাল জয়ে উইমেন’স ওয়ানডে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে ইংল্যান্ড।
গুয়াহাটিতে শুক্রবার স্পিন সহায়ক উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্রেফ ৬৯ রানে গুটিয়ে যায় ২০.৪ ওভারে। এই সংস্করণে যা তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল একজন। সেই সিনালোর ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
ছোট লক্ষ্য ইংল্যান্ড ছুঁয়ে ফেলে ২১৫ বল হাতে রেখেই। এই নিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপে ১০ উইকেটের জয় পেল তারা।
এই জয়ের মূল কারিগর লিন্সে স্মিথ। বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক ম্যাচে চার ওভারে দুই মেডেনে ৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন ৩০ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার। ম্যাচ-সেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতেই।
আরেক বাঁহাতি স্পিনার সোফি এক্লেস্টোন, অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার চার্লি ডিন ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার ন্যাট সিভার-ব্রান্ট নেন ২টি করে উইকেট।
নতুন বল হাতে নিয়ে স্মিথ তার প্রথম তিন ওভারে একে একে ফিরিয়ে দেন ছন্দে থাকা তিন ব্যাটার লরা উলভার্ট, তাজমিন ব্রিটস ও মারিজান ক্যাপকে। ওয়ানডেতে একই ইনিংসে এই তিন জনকে আউট করা প্রথম বোলার তিনিই।
বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন ব্রিটস, উলভার্ট ও ক্যাপ সেঞ্চুরি করেছিলেন একটি করে।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে এই তিন জনের সম্মিলিত রান ১৪।
তাদের আসা-যাওয়ার মাঝে সুনে লিসের উইকেট নেন পেসার লরেন বেল।
সিভার-ব্রান্ট আক্রমণে আসেন নবম ওভারে। প্রথম বলেই তার শিকার আনেকা বশ। নিজের পরের ওভারে প্রথম বলে আরেকটি উইকেট নেন তিনি।
একাদশ ওভারে ৩৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা দক্ষিণ আফ্রিকা আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের পাত্তা দেননি অ্যামি জোন্স ও ট্যামি বাউমন্ট। ৬ চারে ৫০ বলে ৪০ রানে অপরাজিত রয়ে যান জোন্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০.৪ ওভারে ৬৯ (উলভার্ট ৫, ব্রিটস ৫, লিস ২, ক্যাপ ৪, সিনালো ২২, ট্রায়ন ২, ডি ক্লার্ক ৩, ক্লাস ৩, খাকা ৬, এমলাবা ৩; বেল ৪-০-২৪-১, স্মিথ ৪-২-৭-৩, সিভার-ব্রান্ট ৩-১-৫-২, এক্লেস্টোন ৬-২-১৯-২, ডিন ৩.৪-০-১৪-২)
ইংল্যান্ড: ১৪.১ ওভারে ৭৩/০ (বাউমন্ট ২১*, জোন্স ৪০*; ক্যাপ ৪-০-১৩-০, ট্রায়ন ৩-০-১৭-০, ক্লাস ৪-০-১৮-০, এমলাবা ২-১-৯-০, খাকা ১.১-০-১৩-০)
ফল: ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: লিন্সে স্মিথ
এমআর/টিকে