নরসিংদী পৌর শহরের আরশীনগর মোড়ে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে টাকা তোলার প্রতিবাদ করায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন শামীম আহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন নিজেই এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে জানা যায়, শনিবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ৮ জন পুলিশ সদস্য সদর উপজেলার বীরপুর এলাকায় একটি লাশ উদ্ধারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথে দেখতে পান আরশীনগর মোড়ে অটোরিকশা ও সিএনজি থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। এ সময় দুজনকে হাতেনাতে আটক করলে পেছন থেকে চাঁদা আদায়কারীসহ ৪০/৫০ জনের সংঘবদ্ধ দল পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনের ঘাড়ে, পায়েসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে আটকদের ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ফরিদা গুলশানা কবির বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন আমাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তার ঘাড়ে, পায়ে রক্ত জমে গেছে।
আমরা কয়েকটি পরীক্ষা দিয়েছি এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ইজারাদার আলমগীর হোসেন মুঠোফোনে জানান, পুলিশের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। পৌর নিয়ম-নীতি ও বৈধ ইজারার শর্ত মেনে টাকা তোলার সময় পুলিশ বাধা দেওয়ায় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনতে পেরেছি। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেন বলেন, চাঁদা আদায় বন্ধে আমি সোচ্চার থাকায় ক্ষোভ থেকে শুধু আমার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, হামলার ধরন থেকে বুঝতে পেরেছি।
এ সময় অন্য কোনো পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা হয়নি। সেখানে হামলা করার মতো বড় কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. কলিমুল্লাহ বলেন, পৌর শহরের আরশীনগর মোড়ে টোল আদায়কারী দুজনকে পুলিশ আটক করে। এ সময় তাদের ছাড়িয়ে নিতে ৩০-৪০ লোক এসে ধাক্কাধাক্কি করলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন শামীম রাস্তায় পড়ে যান। এ ঘটনায় আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এবি/টিএ