সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জনের প্রাণহানি

শনিবার (৪ অক্টোবর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪৩ জন, যা মোট নিহতের ৩৪.২৯ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ছিল ৩৩.৮৫ শতাংশ।

এ ছাড়া দুর্ঘটনায় ১১২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৮৫ শতাংশ। অন্যদিকে যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন বা ১৩.৪২ শতাংশ। গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬১টি সংঘটিত হয়েছে জাতীয় মহাসড়কে। আঞ্চলিক সড়কে ঘটেছে ১৩৯টি, গ্রামীণ সড়কে ৫৭টি এবং শহরের সড়কে ৮৯টি।

দুর্ঘটনার ধরনের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি, ১৭১টি। পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়ার ঘটনা ছিল ১১৯টি, মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ছিল ৯২টি এবং যানবাহনের পেছনে আঘাত করার ঘটনা ছিল ৫৮টি।

সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১২৮টি দুর্ঘটনায় ১২৪ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ১৬টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় ৫২টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানী ঢাকায় ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বেশ কিছু বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছে:
* ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও ত্রুটিপূর্ণ সড়ক।

* বেপরোয়া গতি।

* চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা।

* মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল।

* দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি যানবাহনের বেপরোয়া গতি এবং পথচারীদের অসচেতনতার কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ায় সরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর ওপরও জোর দেয়া হয়েছে।

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া Nov 20, 2025
img
বার্সার নজরে ব্রাজিলিয়ান সুপার ট্যালেন্ট রায়ান Nov 20, 2025
img
চলন্ত ট্রেনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ Nov 20, 2025
img
মা শিক্ষিত হলে সন্তানও শিক্ষিত হবে: চিরঞ্জিত চক্রবর্তী Nov 20, 2025
img
‘দিদি নম্বর ওয়ানের’ মঞ্চে আসছেন রুক্মিণী Nov 20, 2025
img
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনও দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা Nov 20, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে জামায়াতের প্রতিক্রিয়া Nov 20, 2025
img
১ মাসে যতজনের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাই বলেছে-জামায়াতকে ভোট দেবে : মুনতাসির Nov 20, 2025
img
আওয়ামী লীগের কোনো নেতা স্বতন্ত্র হলেও নির্বাচনে আসতে দেওয়া হবে না : রাশেদ খান Nov 20, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন প্রক্রিয়া পরবর্তী সংসদে নির্ধারণ : অ্যাটর্নি জেনারেল Nov 20, 2025
img
‘আজ জন্মদিন তোমার’ গাওয়ার কথা ছিল হাসানের Nov 20, 2025
img
রেকর্ড গড়ে দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিলেন নীতিশ কুমার Nov 20, 2025
img
মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ Nov 20, 2025
img
সৌদি যুবরাজের অনুরোধে এবার সুদানের সংঘাত থামাতে কাজ করবেন ট্রাম্প Nov 20, 2025
img
দীর্ঘ ১৩ বছর পর সিরিয়ায় রাষ্ট্রদূত পাঠালো তুরস্ক Nov 20, 2025
img
শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী Nov 20, 2025
img
তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মামলার আবেদন খারিজ Nov 20, 2025
img
সরকার নিরপেক্ষতার পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি : সাইফুল হক Nov 20, 2025
img
মুশফিক ও লিটনের জোড়া সেঞ্চুরি, নাম লেখালো ইতিহাসের পাতায় Nov 20, 2025
img
মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ Nov 20, 2025