স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার্তা

জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করুন, দেরিতে হাসপাতালে এলে ঝুঁকি মারাত্মক

দেরিতে চিকিৎসা নেওয়ার কারণে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের মৃত্যুহার বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, আজ একদিনেই ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিনই প্রাণ হারান।

চিকিৎসকরা বলছেন, সময়মতো পরীক্ষা ও চিকিৎসা শুরু না করলে ডেঙ্গু দ্রুত জটিল আকার নেয়, ফলে রোগীকে বাঁচানোর সুযোগ কমে যায়।

রোববার (৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. মঈনুল আহসান।

তিনি জানান, বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ হচ্ছে হাসপাতালে আসতে দেরি করা। ‘আজ যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে সাতজন ভর্তি হওয়ার দিনই মৃত্যুবরণ করেছেন। একজন পরদিন মারা গেছেন। এটা স্পষ্ট যে রোগীরা হাসপাতালে আসছেন অনেক দেরিতে,’ বলেন তিনি।

ডা. মঈনুল আহসান বলেন, ডেঙ্গু জ্বরকে সাধারণ জ্বর ভেবে অবহেলা না করে, জ্বর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাছের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো জরুরি। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের সব হাসপাতালেই বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট, স্যালাইন ও ওষুধ মজুত রয়েছে। তবে মৃত্যুহার কমাতে শুধু চিকিৎসা নয়, একইসঙ্গে দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ, গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা এবং কার্যকর মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

ডা. মঈনুল আহসান বলেন, ‘ডেঙ্গু চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা অত্যন্ত সতর্ক ও তৎপর। কিন্তু জনগণের সহযোগিতা ছাড়া মৃত্যুহার কমানো কঠিন। সবাইকে অনুরোধ করছি জ্বর হলে অবহেলা করবেন না, সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করান।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর গুরুতর পর্যায় সাধারণত জ্বরের ৩-৫ দিনের মধ্যে শুরু হয়। তাই এ সময়ের মধ্যেই রোগ শনাক্ত করা এবং চিকিৎসা শুরু করাই রোগীর জীবন বাঁচানোর মূল চাবিকাঠি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সর্বস্তরের নাগরিক, স্থানীয় প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও জোরদার করতে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে একযোগে কাজ করতে।

এমকে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোটারদের নিয়ে খেলা চলছে : মনজুর আহমেদ Oct 05, 2025
img
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল জামায়াত নেতার Oct 05, 2025
img
২ দশক পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি তারেক রহমান Oct 05, 2025
img
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের নিকট নবনিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ Oct 05, 2025
img
ফোনে নেতানিয়াহুকে ধমক দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, কারণ কী! Oct 05, 2025
img
ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান Oct 05, 2025
img
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন হবে না : প্রিন্স Oct 05, 2025
img
৬৫ টন কাঁচা মরিচ এলো ভারত থেকে ! Oct 05, 2025
img
ছাত্রদলের এক নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার Oct 05, 2025
img
চীনে আঘাত হানল টাইফুন মাতমো Oct 05, 2025
img
তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে রাজউকের কঠোর নির্দেশনা Oct 05, 2025
img

মোস্তফা ফিরোজ

শেষ সময়েও হাসিনাকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তোফায়েল আহমেদ Oct 05, 2025
img
কুয়েতে ৯ মাসে বহিষ্কার প্রায় ২৯ হাজার প্রবাসী ! Oct 05, 2025
img
নতুন পে স্কেলে বেতন কত বাড়তে পারে? Oct 05, 2025
img
মুলা, বেগুন মার্কা নির্বাচন কমিশনের রুচিবোধের প্রকাশ: সারজিস Oct 05, 2025
img
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে Oct 05, 2025
img

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে

নির্বাচনের দিন গণভোট চায় বিএনপি ও এনসিপি, আগে চায় জামায়াতে ইসলামী Oct 05, 2025
img
গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে অপূর্ব পালকে Oct 05, 2025
img
মশিউর সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে ডিএসইর বিশেষ বার্তা Oct 05, 2025
img

বিসিবি নির্বাচন

রাতের ভোটকে হার মানিয়ে ফেলেছে, বললেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো রেদুয়ান Oct 05, 2025