বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকার আদাবরে পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বি এম মোজাম্মেল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৬ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, বি এম মোজাম্মেল হক মামলার ঘটনার দিন ৫ আগস্ট আদাবর থানা এলাকায় সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ওই দিন সহিংসতায় গামেন্টস কর্মী রুবেলের মৃতুর ঘটনায় এ আসামি জড়িত ছিল মর্মে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়। তাকে রোববার ঢাকার নিকেতন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মোজাম্মেল হকের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মূল নথি পাওয়া সাপেক্ষে জামিনের বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন মোজাম্মেল হকের আইনজীবী লিটন মিয়া।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শেষ দিন অর্থাৎ ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১টার দিকে আদাবরের রিং রোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এ সময় তাদের ওপর পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ২২ আগস্ট রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম আদাবর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ইউটি/টিএ