জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সংস্কারের মধ্য দিয়েই নির্বাচন হতে হবে : তাহের

প্রয়োজনীয় সংস্কার না করে নির্বাচন করলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধিবেশন শেষে দেশে ফিরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রসঙ্গে নায়েবে আমির বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখি না। তবে নির্বাচন যেন গ্রহণযোগ্য হয়, সেই ব্যাপারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জরুরি।
জামায়াত নেতা তাহের আরও বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার না করে নির্বাচন করলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সংস্কারের মধ্য দিয়েই নির্বাচন হতে হবে।

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হওয়া দরকার। কারণ, একটি গণতান্ত্রিক জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই সমস্যার সমাধান দিতে পারে।

সম্প্রতি তার নামে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছিলাম, চিকিৎসার জন্যও কিছু সময় ছিলাম। কিন্তু আমার নামে গুজব ছড়ানো হচ্ছে এসব ভিত্তিহীন। এখন তো এআই দিয়ে ভিডিও বানিয়ে যে কোনো কিছু দেখানো যায়। মানুষ কিন্তু এসব বোঝে। আমাদের প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে নিয়েও নাচগানের ভিডিও রয়েছে। এগুলো খুবই ন্যক্কারজনক।

প্রসঙ্গত ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) সরকারি প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিউইয়র্কের যান পাঁচ রাজনৈতিক নেতা। তারা হলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং এনসিপির প্রথম সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ড. তাসনিম জারা। এ ছাড়া জামায়াত নেতা মোহাম্মদ নকিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের দুই বছর পূর্তি, রক্তপাতের অবসান চান ফিলিস্তিনিরা Oct 07, 2025
img
বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২১.২ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক Oct 07, 2025
img
সিঙ্গাপুর সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বিশেষ দূতের উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক Oct 07, 2025
img
দেশের অর্থনীতি স্বস্তিতে থাকলেও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা Oct 07, 2025
img
গ্রেটা থুনবার্গকে ঝামেলাবাজ বললেন ট্রাম্প! Oct 07, 2025
img
চীন থেকে ২০টি অত্যাধুনিক জে-১০সি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ, সম্ভাব্য ব্যয় ২.২ বিলিয়ন ডলার Oct 07, 2025
img
নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে জাতিসংঘের সহায়তা প্রত্যাশা জামায়াতের Oct 07, 2025
img
সমুদ্রপথে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসীদের শীর্ষে বাংলাদেশিরা Oct 07, 2025
img
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কমিশনকে আরও সমৃদ্ধ করতে চায় ইসি Oct 07, 2025
img
আইন সচিব হলেন বিচারক লিয়াকত আলী মোল্লা Oct 07, 2025
img
যথাযথ সংস্কার হলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৮ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক Oct 07, 2025
img
আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় প্রথম সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা Oct 07, 2025
ভারতীয় ঠিকাদারের অপূর্ণ কাজ, বেহাল ১১ কিমি মহাসড়ক Oct 07, 2025
img
আলোচিত সেই বিড়াল রহস্য উন্মোচন করলেন তারেক রহমান Oct 07, 2025
img
আওয়ামী লীগের বিচারে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু Oct 07, 2025
img
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা নিয়ে পুতিন-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ Oct 07, 2025
img
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে ঢাকায় পৌঁছাল হংকং Oct 07, 2025
img
দেশে বজ্রপাতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের Oct 07, 2025
img
কুয়াকাটায় নিখোঁজ ৫ জেলে ফিরলেন ৮ দিন পর Oct 07, 2025
img
অ্যালবাম নিয়ে এআই বিতর্কে জড়ালেন মার্কিন পপ তারকা টেইলর সুইফ্ট Oct 07, 2025