ফেসবুকে ভারতবিরোধী পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে নিহত শহীদ আবরার ফাহাদকে বাংলাদেশের পক্ষের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ‘আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ’ উদ্বোধন ও শহীদ আবরার ফাহাদের ৬ষ্ঠ শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আখতার হোসেন বলেন, আমরা জুলাই মাসে যেমন ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে চব্বিশের অভ্যুত্থানে একত্র হয়েছিলাম, ঠিক তেমনি ঘটনা ঘটেছিল আবরার ফাহাদের হত্যার পর। ফ্যাসিবাদী আমলে প্রথমবার আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ দেখেছিলাম এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যার পর ছাত্র অধিকার পরিষদ, শিবির, ছাত্রদল, বামপন্থী সংগঠনসহ বাংলাদেশের সব ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ মানুষ সংগঠিত হয়েছিল। হাজার হাজার ছাত্রজনতা কোনো সাংগঠনিক কাঠামো ছাড়াই রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একত্রিত হয়েছিল ন্যায়বিচারের দাবিতে। জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা বলেন, আবরার ফাহাদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বকীয়তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে জীবন দিয়েছেন। আজকের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংকট হলো সার্বভৌমত্বের সংকট। প্রতিবেশী দেশের আগ্রাসনের মুখে তিনি ছিলেন প্রতিরোধের প্রথম কণ্ঠ। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক হিসেবে আবরার ফাহাদ যুগে যুগে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম প্রমুখ।
ইউটি/টিকে