চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির জমকালো উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল শেরাটনে এর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। এছাড়া অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃবৃন্দসহ রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ও কূটনৈতিক মহলের দুই শতাধিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসএবিসিসিআই সভাপতি আশরাফুল হক চৌধুরী।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এসে আমরা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ চেম্বারের জন্ম দেখতে পাচ্ছি। আমার মনে প্রশ্ন, এতো দেরিতে কেন? তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক, অথচ এতোদিনেও এই চেম্বার গড়ে ওঠেনি তা বিস্ময়ের। তবুও এই সূচনাই আশা জাগায়।
মঈন খান বলেন, আমরা চাই, দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হোক, পাশাপাশি বাণিজ্যিক সম্পর্কও বাড়ুক বিস্ময়কর দ্রুততায়।” পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক শুধুমাত্র ধর্মীয় বা মানবিক নয়, এটি পারস্পরিক আস্থার ওপর দাঁড়ানো এক দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব। এসএবিসিসিআই সেই বন্ধুত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলে দেবে।
সৌদি ব্যবসায়ীদের বন্দর, বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে প্রতিশ্রুত। সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ পূরণে বাংলাদেশ অংশীদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন ২০ সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দল। যার নেতৃত্ব দেন শেখ ওমর আব্দুলহাফিজ আমিরবকশ। যিনি মাজদ আল উমরান গ্রুপের কর্ণধার। হসপিটালিটি, আবাসনসহ বেশ কিছু খাতে ব্যবসা আছে এ গ্রুপের। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- আল ইসায়ি গ্রুপের পরিচালক নাজি আব্দুল্লাহ, বাদশাহ আব্দুল আজীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ আসিফ সালাম, সৌদি আরবের আল তৈয়বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও স্বাস্থ্য খাত বিশেষজ্ঞ ড. খালিদ আল হারবি।
এসএস/টিকে