পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিদেশি মিশন থেকে ছবি সরানো নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি

বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি নামিয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে আক্ষেপ প্রকাশ করে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিটি হাতে পেয়েছেন উপদেষ্টা।

বুধবার (৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতির চিঠি হাতে পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপদেষ্টা।

তৌহিদ হোসেন বলেন, উনি তার অনুভূতিটা ব্যক্ত করেছেন। এটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। চিঠিটা আমি পেয়েছি, অবশ্য দেরিতে; এটা সামাজিক মাধ্যমে চলে আসছে অনেক আগে। চিঠিটা ফিজিক্যালি আমার কাছে পৌঁছেছে অনেক দেরিতে।

কোনো উত্তর দিয়েছেন কি না— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয় এটা নিয়ে কথা না বলি। রাষ্ট্রপতি, উনি অনেক উপরের বিষয়। উনি তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন, এতটুকুতে আমরা থাকি।

রাষ্ট্রপতির ছবি নামানো নিয়ে কোনো আইন করা হয়েছে কি না— এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, কোনো আইনও করা হয়নি, চিঠিও ইস্যু করা হয়নি। কিন্তু এমনিতে সাধারণভাবে কোনো ছবি থাকবে না এটাই হলো নিয়ম। আমার মনে হয় এটা নিয়ে এখানেই আমরা থেকে যাই। এটা নিয়ে বিতর্ক থাকবে…

উল্লেখ্য, গত আগস্টে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে বাংলাদেশি যেসব মিশনগুলোতে রাষ্ট্রপতির ছবি টাঙানো ছিল, সেগুলো নামানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে দেশ-বিদেশে নানা আলোচনা চলে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে লেখা এক চিঠিতে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি ছবি অপসারণের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হওয়া আলোচনার কারণে বিশ্বব্যাপী তার সম্মান ভুলুণ্ঠিত হয়েছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি সরকারের জিরো প্রোট্রেট নীতিতে সমর্থনের কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও কৌশলী উপায়ে এটি করা যেত বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বর্তমান সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর : প্রধান বিচারপতি Nov 22, 2025
img
আগে দুর্নীতি হতো বস্তাভর্তি টাকা দিয়ে, এখন হচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে : আব্বাসী Nov 22, 2025
img
মেট্রোরেল লাইনে ড্রোন, সাময়িক স্থবিরতার পর আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক Nov 22, 2025
যে ছয়টি কাজ করলে দোয়া কবুল হবে Nov 22, 2025
img
ঢাবির রবিবারের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা Nov 22, 2025
img
ভূমিকম্পে নিটোরে আহত ১১৯ জনের চিকিৎসা, ভর্তি ২৩ Nov 22, 2025
img
মুশফিককে কেন রেকর্ড গড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি, ব্যাখ্যা দিলেন আশরাফুল Nov 22, 2025
img
১ সেকেন্ডের ব্যবধানে ২ বার ভূমিকম্প : আবহাওয়া অধিদপ্তর Nov 22, 2025
img
সাভারে পালিয়ে থাকা আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার Nov 22, 2025
img
শুটিংয়ের কথা বলে রিসোর্টে মডেলকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, পরিচালক গ্রেপ্তার Nov 22, 2025
img
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে : জিএস ফরহাদ Nov 22, 2025
img
ভূমিকম্প : জরুরি সভায় একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত ঢাবি প্রশাসনের Nov 22, 2025
img
কামিন্সের পরামর্শ মেনে ওপেনিংয়ে নামলেন হেড Nov 22, 2025
img
৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাজশাহীতে রেলপথ অবরোধ Nov 22, 2025
img
সংসদে যারা যাবেন তাদের জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করতে হবে: পাটওয়ারী Nov 22, 2025
img
ব্যবহারকারীর নিরাপত্তায় হোয়াটসঅ্যাপের বড় পরিবর্তন Nov 22, 2025
img
নতুন পে স্কেলের দাবিতে ডিসেম্বরে মহাসমাবেশ Nov 22, 2025
গণভোট নিয়ে যা বললেন সিইসি Nov 22, 2025
কালচারাল ফ্যাসিস্ট ইস্যুতে যা বললেন উপস্থাপক কাজী জেসিন Nov 22, 2025
img
ফের হওয়া ভূ-কম্পনগুলো ‘আফটার শক’ : আবহাওয়া কর্মকর্তা Nov 22, 2025