রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ৭ নেতাসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, রাজধানীতে নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ঢাকায় অবস্থান নেওয়া ওই গ্রুপটিকে শনাক্ত করে ডিবি অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের অন্তত সাতজন নেতা রয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলো -ছাত্রলীগ নেতা চঞ্চল মিয়া ওরফে এনায়েত করিম চঞ্চল (৩৫), রাশিদুল ইসলাম রন্টি (২৭), শাহিদ কাজী (২২), রাজীব শিকদার (১৯), রায়হান পাইক (২১), রবিউল মিয়া, আওয়ামী লীগ কর্মী হান্নান মিয়া (৫০), মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মধ্যপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. ইসলাম বেপারী (৪৫), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুল হক (৪২), কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার পৌর যুবলীগের ৬ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি মো. গোলাম মোহাম্মদ সুজন (৫০) ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সাবেক সহ সম্পাদক রাকিব হোসেন জমাদার (৩১)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০টায় ডিবি রমনা বিভাগের একটি টিম হাতিরপুল এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চঞ্চল মিয়া, রাশিদুল ইসলাম রন্টি, মো. হান্নান মিয়া, শাহিদ কাজী, রাজীব শিকদার, রায়হান পাইক ও রবিউল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে ঢাকায় এসে লোকজন সংগ্রহ করত এবং বিভিন্ন ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করতো। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃতরা গোপনে বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতো।
এদিকে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় ডিবি ওয়ারী বিভাগ ওয়ারী থানার হাটখোলা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. ইসলাম বেপারীকে ও রাত ৯টায় ডেমরা থানা এলাকা থেকে মাহফুজুল হককে গ্রেপ্তার করে।
অপরদিকে রাত সাড়ে ৯টায় ডিবি মিরপুর বিভাগের একটি টিম শাহবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. গোলাম মোহাম্মদ সুজনকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় কাফরুল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাকিব হোসেন জমাদারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-গুলশান বিভাগ।
এমআর