বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়ার নিরলস পরিশ্রম ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এবং লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যমতের সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ও ব্যবস্থাপনায় ত্রিপলি থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে আগ্রহী ৩০৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
প্রত্যাবাসিত অভিবাসীরা আজ (শুক্রবার) বেলা আনুমানিক ১১টায় ফ্লাই ওয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) কাজী আসিফ আহমেদ প্রত্যাবাসন কার্যক্রম চলাকালে অভিবাসীদের দূতাবাস প্রাঙ্গণে বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়া এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়কালে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, অভিবাসীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে দূতাবাস দিনরাত কাজ করেছে। তিনি জানান, দূতাবাসের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা এবং লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় এই প্রথম এত বড় পরিসরে বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দূতাবাস দ্রুততম সময়ে আরও দুটি ফ্লাইটের মাধ্যমে ছয় শতাধিক অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য লিবিয়া সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
প্রত্যাবাসনের সময় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স লিবিয়া সরকারের মিডিয়া টিমকে জানান, স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনে আগ্রহী নিবন্ধিত অভিবাসীদের দেশে পাঠানোর লক্ষ্যে দূতাবাস লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যমতের সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করছে।
তিনি বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে লিবিয়া সরকারের সার্বিক সহায়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকরা পূর্বে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন। এরপর দূতাবাস লিবিয়া সরকারের সহায়তায় তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট প্রস্তুত, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র সংগ্রহসহ সকল প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
এ কার্যক্রমে দূতাবাস লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে কাজ করেছে।
এমকে/এসএন