হংকংয়ের বিপক্ষে দারুণ শুরু, তারপর বিপর্যয়, ফের জেগে ওঠা—সবকিছুই দেখল বাংলাদেশ ফুটবল দল। জয়ের হাতছানি থেকে শেষ সেকেন্ডেই হতাশায় ডুবে গেল হাভিয়ার কাবরেরার শিষ্যরা। হামজা চৌধুরীর গোলে লিড নিয়ে যে লাল-সবুজরা স্বপ্ন দেখেছিল, শেষ মুহূর্তের গোলেই সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়—হংকংয়ের কাছে ৩-৪ গোলের নাটকীয় হার ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে কষ্টের দাগ রেখে গেল।
এমন হারের পর মাঠে বাংলাদেশের ফুটবলারদের চেহারের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। হামজারা যেন নিজেদের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের সব সমর্থকদের মতো হামজাও বললেন, হংকং, চায়নার বিপক্ষে অন্তত এক পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের।
লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার বলেন, ‘এটা এমন একটা ম্যাচ ছিল, আসলে বুঝতে পারছি না অন্তত এক পয়েন্টও কিভাবে পেলাম না।’
অবশ্য হারলেও দলের উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করেন হামজা, ‘ভাঙা রেকর্ডার মনে হলেও আমরা কিন্তু ভালোই উন্নতি করছি, আমি মনে করি আমরা অনেক ভালোই খেলেছি।’
এই হারে এফএফসি এশিয়ন কাপ খেলার স্বপ্ন কার্যত শেষ বাংলাদেশের। মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে কাবরেরার দল। আর তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে হংকং, চায়না।
অবশ্য হতাশাজনক এই হার ভুলে দ্রুতই বাংলাদেশকে আবার মাঠে নামতে হবে। টিমটিম হয়ে জ্বলতে থাকা এশিয়া কাপে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে বাছাইপর্বের বাকি সব ম্যাচে জয়ের সঙ্গে গ্রুপে অন্য দলগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হতে পারে লাল-সবুজের বাহিনীদের।
আগামী মঙ্গলবার হংকং, চায়নার মাঠে এএফসি এশিয়া কাপ বাছাইয়ের চতুর্থ ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ। হারের যন্ত্রণা একপাশে রেখে সেই ম্যাচ সহ বাকি ম্যাচগুলোতে জয়ে চোখ রাখছেন হামজা, ‘ পাঁচদিন (চারদিন) পরই আমাদের আরেকটি ম্যাচ খেলতে হবে। আমাদের এখন পরের তিনটা ম্যাচ জিততে হবে। এটা (হার) আসলে ফুটবলেরই অংশ।’
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হামজা বলেন, ‘সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আমাদের কঠোর পরিশ্রম তো দেখছেন। কোচ-ফুটবলারদের চেষ্টার কমতি ছিল না। কখনো কখনো ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়।’
ইএ/এসএন