বর্তমান সময়ের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশকে প্রস্তুত থাকতে হবে : জাহেদ উর রহমান

বাংলাদেশ চীন থেকে ২০টি জেট ফাইটার কিনতে যাচ্ছে এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগেও খবর ছিল যে ৮ থেকে ১২টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০টিতে এবং চীনও বিক্রি করতে রাজি হয়েছে। বর্তমানে যুদ্ধের ধরন পাল্টে যাচ্ছে। তাই ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

নিজের ইউটিউব চ্যানেল জাহেদস টেইক-এ এসব নিয়ে কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিমান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। চীনা যুদ্ধবিমানের সক্ষমতা নিয়ে আগে অনেকে সন্দেহ করলেও সাম্প্রতিক এক যুদ্ধে চীনের তৈরি একটি ফাইটার ইউরোপের অত্যাধুনিক এক ফাইটারকে পরাজিত করেছে বলে কিছু রিপোর্টে এসেছে। এতে চীনা প্রযুক্তির গুরুত্ব নতুনভাবে সামনে এসেছে।

এই যুদ্ধবিমানগুলো তুলনামূলকভাবে কম দামে ভালো সক্ষমতা দিচ্ছে, তাই এটি বাংলাদেশের জন্য যুক্তিযুক্ত ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই ২০টি যুদ্ধবিমানের জন্য বাংলাদেশকে মোট প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট, পাইলট প্রশিক্ষণ, অস্ত্রসজ্জা ও অন্যান্য খরচ। চলতি অর্থবছর থেকেই কেনার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

মায়ানমার ও ভারতের মতো প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাতের কথা মাথায় রেখে শক্তিশালী বিমানবাহিনী গড়ে তোলা জরুরি। এই পুরো অর্থ ১০ বছরে ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হবে। শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাহিনী থাকলে সম্ভাব্য শত্রুরা আক্রমণ করার আগে দুইবার ভাববে।’

তিনি বলেন, ‘এখন ড্রোন যুদ্ধ, সাইবার আক্রমণ বা দূর থেকে পরিচালিত হামলার প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে। তাই বাংলাদেশকেও এসব প্রযুক্তির দিকে নজর দিতে হবে এবং নিজস্ব ড্রোন বানানো ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার হোক বা ভবিষ্যতের যেকোনো সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়ন করা জরুরি। দেশ নিজের প্রয়োজনে যা দরকার তা কিনবে, এটাই হওয়া উচিত সরকারের নীতি।’

ইএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

তরুণ ইয়ামালের প্রতিভা নিয়ে এমবাপ্পের উচ্ছ্বাস Oct 10, 2025
যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ফিরছেন প্যালেস্টিনীয়রা Oct 10, 2025
img
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক মানুষ ঠিকানা হারাবে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Oct 10, 2025
শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠার চেষ্টা ছিল তামজিদের Oct 10, 2025
ট্রাম্প নোবেল পেলেন না, কারণ জানিয়েছে কমিটি! Oct 10, 2025
জুতা হাতে নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 10, 2025
img
আগামীকাল দেশে ফিরবেন শহিদুল আলম Oct 10, 2025
img
দুই-তিন সপ্তাহ পর নির্বাচনী আমেজ জমে উঠবে: প্রেস সচিব Oct 10, 2025
img

জিল্লুর রহমানের বিশ্লেষণ

রাজনীতিতে আবারও নতুন নাটক শুরু Oct 10, 2025
img
ক্ষমতায় গেলে কোমর ভাঙা শিক্ষাব্যবস্থা ঠিক করা জামায়াতের প্রথম লক্ষ্য: ডা. শফিকুর রহমান Oct 10, 2025
img
নোবেল না পেলেও শান্তির জন্য কাজ করে যাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প: হোয়াইট হাউজ Oct 10, 2025
img
শাপলার সঙ্গে আমাদের অর্গানিক সম্পর্ক: সারোয়ার তুষার Oct 10, 2025
img
গাজাবাসীর জন্য ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে জার্মানি Oct 10, 2025
img
প্রত্যেক উপদেষ্টাই তো বিদেশি নাগরিক: রুমিন ফারহানা Oct 10, 2025
img
বিপিএলে দল কমে ৫, বরিশাল নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটল কি? Oct 10, 2025
img
রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা Oct 10, 2025
img
দেশজুড়ে বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর Oct 10, 2025
img
‘সঠিক স্থানে নয় এমন আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে’ Oct 10, 2025
img
বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা আলী নেওয়াজ কারাগারে Oct 10, 2025
img
ভারতকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে দেখে আফগানিস্তান: আমির খান মুত্তাকি Oct 10, 2025