বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, ‘বিএনপির শিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে আলাদা চিন্তাভাবনা আছে। আমরা আমাদের ৩১ দফার ২৫ নম্বরে খুব পরিষ্কারভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলেছি। আমরা জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারলে জিডিপির ন্যূনতম ৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করব।’
আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘বিজ্ঞান শিক্ষার নীতি ও বাস্তবতা : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সোশিও কালচারাল ফোরাম (বিএসসিএফ)।
শামা ওবায়েদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দল, ছোট-বড় সংস্থাসহ যেকোনো সেক্টরেই রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সঠিকভাবে থাকতে হবে। না হয় ওই সেক্টরের সমস্যাগুলো আইডেন্টিফাই করা যাবে না এবং সেই সমস্যার সমাধানও পাবেন না। সেই জায়গা থেকে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টকে সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে বিএনপি কাজ করবে।’
শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘ছোট থাকতে আমরা প্রাইমারি স্কুলে শিখেছিলাম, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’। এখন আমাদের মনে হচ্ছে যে জাতির মেরুদণ্ড নেই অথবা ভেঙে যাচ্ছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রথম গলদ হচ্ছে, আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেটা পছন্দ করে ওইটাতে আমরা তাদেরকে পড়তে দিই না। দ্বিতীয়ত, আমাদের সিস্টেমে শিক্ষাটা এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।’
জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, গত ১৭ বছরে প্রত্যেক জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। গোপালগঞ্জে বিশাল বিশাল ইউরোপিয়ান স্টাইলে বিল্ডিং করেছে। এতে কত কোটি টাকা খরচ হয়েছে আমি বলতে পারব না। তবে চুরি হয়েছে ওখানে অনেক। এখানে অবকাঠামো তৈরি করেছে শুধু দুর্নীতি করতে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা প্রজেক্টের লোকজনের চুরির ব্যবস্থা করতেই ওই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয়েছে। পড়াশোনার জন্য কিন্তু হয়নি।’
আলোচনাসভায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, তরুণ নারী নেত্রী উমামা ফাতেমা, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রায়হানা শামস ইসলাম, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী সাঈদ আহমেদ, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এমআর/টিকে