দেশের পরিস্থিতিটা খুব একটা শান্তিপূর্ণ নয় : জিল্লুর রহমান

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, দেশের পরিস্থিতিটা খুব একটা শান্তিপূর্ণ নয়। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস যিনি শান্তিতে নোবেল পেলেন তার কাছে শান্তি চাওয়াটা কি খুব একটা অন্যায়? উনি ভালো মানুষ। উনি আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন। সে কথা তো কেউ অস্বীকার করে না।

ওনার কাছে আমাদের সবার খুব প্রত্যাশা ছিল। উনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থ হতেই পারেন। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কোথাও না কোথাও থেকে শুরু করতে হবে।

সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

জিল্লুর রহমান বলেন, ভেতরে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা কি একবারও ভেবে দেখেছি যে এটা আমাদের দেশের জন্য কল্যাণকর হবে কি না? এটা আমাদের দেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি, শৃঙ্খলা, রাজনীতি, নিরাপত্তার জন্যে সুখকর কিছু হবে কি না। আমরা মোটেই বোঝার চেষ্টা করি না। উস্কানিমূলক কথাবার্তা নানা মহল থেকে বলা হচ্ছে।

হ্যাঁ, অনেকেই অপরাধ করেছেন। রাজনীতিবিদরা করেছেন, পুলিশের সদস্যরা করেছেন, সাংবাদিকরা করেছেন, ব্যবসায়ীরা করেছেন, নাগরিক সমাজের ব্যক্তিরা করেছেন। আমরা প্রত্যেকে তাদের বিচার চাই। কিন্তু একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিচার হোক।

জিল্লুর বলেন, এটাকে নিয়ে বাইরে আমরা যেভাবে আলোচনা করছি, যেভাবে একটা পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছি সেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

কোনোভাবেই এই অস্থিতিশীলতা একসেপ্টেবল নয় যে, একটা ওয়ান সাইডেড ইলেকশন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিপদের মধ্যে ফেলে দিতে চাই। আওয়ামী লীগ নেতাদের সরকারে যারা ছিলেন, মন্ত্রীবর্গের অনেক সংসদ সদস্যদের এমনকি পদ-পদবী ছাড়া অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীও অপরাধ করে থাকতে পারেন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে সবাই অপরাধ করেছেন।

জিল্লুর আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী যে দুঃশাসন ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তা প্রত্যাখ্যান করেছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে।

কিন্তু তার যে অধিকার, সমর্থক বা কেউ যদি তাকে ভোট দিতে চায়, এই যে মানুষের চয়েজ করার অপশন, সেটা আপনি রাখবেন না কেন? অপরাধ করলে অপরাধের বিচার করেন। আমরা ২০০৭-তেও বলেছি, এখনও বলছি যে ট্রুথ অ্যান্ড রিকাউন্সিলেশনের একটা জায়গা তৈরি করা দরকার।

একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসুন আমরা নতুনভাবে যাত্রা শুরু করি। 

এমআর/টিকে 


Share this news on:

সর্বশেষ

img
১৮ নভেম্বর প্রকাশ পাবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা Oct 13, 2025
img
বিশ্ব খাদ্য ফোরামে বক্তব্য রাখবেন প্রধান উপদেষ্টা Oct 13, 2025
img
বিশ্ব ব্যর্থতা দিবস আজ Oct 13, 2025
'আমরা শুধুই পাহাড় নয়, দেশের সকল শিক্ষার্থীর জন্য কাজ করতে চাই Oct 13, 2025
গণভোট নিয়ে কী করবে সরকার? Oct 13, 2025
নারীর নিরাপত্তায় শিবির ভিপি প্রার্থীর পরিকল্পনা! Oct 13, 2025
ভবিষ্যতের আলো নিভে যাচ্ছে রোয়াইলে Oct 13, 2025
সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরির প্রেমের গুঞ্জন! Oct 13, 2025
যে কারণে শিবিরের প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছেন এই প্রার্থী! Oct 13, 2025
জন্মদিনে অমিতাভকে শুভেচ্ছা, বিচ্ছেদের গুঞ্জনে জল ঢাললেন ঐশ্বরিয়া Oct 13, 2025
img
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দলে দুই পরিবর্তন Oct 13, 2025
img
চাকসু নির্বাচন নিয়ে কোন্দল, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি বহিষ্কার Oct 13, 2025
img
সৌদিতে আটকে থাকা ৩৮ কোটি টাকা ফেরত আনা হলো Oct 13, 2025
img
মাত্র ১৪ বছরে সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে বৈভব Oct 13, 2025
img
খাইবার পাখতুনখোয়ার নতুন নির্বাচিত পিটিআই নেতা সোহাইল Oct 13, 2025
img
সেঞ্চুরি করে শাই হোপের আট বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান Oct 13, 2025
img
রাকসু নির্বাচনের দিন বন্ধ থাকবে রাবির বেশির ভাগ প্রবেশপথ: ভিসি Oct 13, 2025
img
কোহলির আইপিএল ক্যারিয়ার ঘিরে জল্পনা Oct 13, 2025
img
টাঙ্গাইলকে ঢাকার অন্তর্ভুক্ত রাখার দাবিতে যমুনা সেতু মহাসড়ক বন্ধ Oct 13, 2025
img
রিপন মিয়ার পরিবারকে টিভি সাংবাদিক পরিচয়ে হেনস্থা! Oct 13, 2025