ব্যাংক অব আমেরিকা নতুন করে মূল্যবান ধাতুগুলোর দাম বাড়ানোর পূর্বাভাস দিয়েছে। তারা বলেছে, ২০২৬ সালে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ৫ হাজার ডলারে পৌঁছাতে পারে, যেখানে গড় দাম থাকবে ৪ হাজার ৪০০ ডলার। রুপার দামও প্রতি আউন্স ৬৫ ডলারে উন্নীত হয়েছে, গড় দাম হবে ৫৬ দশমিক ২৫ ডলার।
ব্যাংকটি উল্লেখ করেছে, স্বল্পমেয়াদে দাম কিছুটা কমতে পারে, তবে আগামী বছরে উভয় ধাতুর দাম আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের নোটে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের অপ্রচলিত নীতি কাঠামো স্বর্ণের জন্য সহায়ক, কারণ সরকারের রাজস্ব ঘাটতি, ঋণ বৃদ্ধি, চলতি হিসাব ও মূলধন প্রবাহ সীমিত করার চেষ্টা এবং প্রায় ৩ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির কারণে সুদের হার কমানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ব্যাংক অব আমেরিকা প্রথম প্রধান ব্যাংক যারা স্বর্ণের ২০২৬ সালের দাম ৫ হাজার ডলার প্রতি আউন্সে উন্নীত করেছে। গত সপ্তাহে স্পট স্বর্ণের দাম প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ডলারের সীমা অতিক্রম করেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। ব্যাংক বলেছে, স্বর্ণের দাম ৬ হাজারে ডলারে পৌঁছাতে বিনিয়োগকারীদের ক্রয় ২৮ শতাংশ বাড়াতে হবে।
রুপার বাজারেও চাপ রয়েছে। সরবরাহের ঘাটতির কারণে আগামী বছরে চাহিদা ১১ শতাংশ কমার পূর্বাভাস থাকলেও ব্যাংক আশা করছে রুপার দাম সমর্থিত থাকবে। সিলভার ইনস্টিটিউট শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, রুপা কাঠামোগত বাজার ঘাটতির পঞ্চম বছরের দিকে প্রবেশ করছে।
বাজারে শুল্ক শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত না হওয়ায় নিউ ইয়র্কের রুপা আউন্স লন্ডনের বাজারকে শক্ত করে তুলেছে, যা উচ্চ ইজারা হারের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। ব্যাংকটি বলেছে, সাম্প্রতিক স্থিতিশীলতা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে পারে, তবে এতে অস্থিরতা বাড়তে পারে এবং নিকট ভবিষ্যতে রুপার দামে চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
বর্তমানে স্পট রুপার দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ ৫১ দশমিক ৭০ ডলার প্রতি আউন্সে পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে কমেক্সে রুপার ফিউচার লেনদেন হচ্ছে ৪৯ দশমিক ৭২ ডলারে।
সূত্র-রয়টার্স