সয়াবিন ও পামওয়েল তেলের দাম বৃদ্ধি ও বন্দরের মাশুল (ট্যারিফ) বাড়ানোর সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানিয়েছে রাজনৈতিক জোটটি।
এতে বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর ফলে জনজীবন এমনিতেই বিপর্যস্ত। সরকার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে।
তারা বলেন, বাজারে চাল, ডাল, সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে। তার উপর নতুন করে ভোজ্য তেল বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৬ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা এবং খোলা পামওয়েলের দাম বাড়ানোর গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনজীবনের সংকটকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের এই নেতারা বলেন, ইতোপূর্বে গত এপ্রিল মাসেই একবার ভোজ্য তেলের দাম (বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ও পামওয়েল ১২ টাকা) বাড়ানো হয়েছে। ফলে ৫ মাসের ব্যবধানে নতুন করে দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জনগণের কথা না ভেবে আমদানি-রপ্তানিকারকদের কথা চিন্তা করে একতরফাভাবে বন্দরের মাশুল (ট্যারিফ) ৪১ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বর্তমানে লাভজনক অবস্থায় থাকার পরও কেন এই ট্যারিফ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তা খুবই রহস্যজনক। একদিকে জনমত উপেক্ষা করে লাভজনক বন্দরের কন্টেইনার পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।
তারই অংশ হিসেবে বিদেশি কোম্পানিকে যাতে ট্যারিফ বাড়াতে না হয় সেই জন্য বিদেশি অপারেটরদের মুনাফার সুবিধা করে দিতেই ইজারার পূর্বে সরকারই ট্যারিফ বাড়ানোর এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার প্রভাব পড়বে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে। ফলে পণ্যমূল্য বাড়বে এবং শেষে এই বাড়তি মূল্য দেশের জনগণকেই পরিশোধ করতে হবে।
ইউটি/টিএ