আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ফলাফল যা-ই আসুক না কেন, তা মেনে নেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে শিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’।
রাকসু নির্বাচন: ফল মেনে নেবে শিবির সমর্থিত প্যানেল
একইসঙ্গে তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে এখনও কোনো বড় বাধা দেখছে না বলেও জানিয়েছে। তবে পূর্বসতর্কতা হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জোটটি।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে রাকসু ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় তারা প্রচারণার শেষ মুহূর্তের সার্বিক তথ্য গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।
সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট দাবি করে, তারা নির্বাচন কমিশনের প্রণীত আচরণবিধি মেনেই তাদের সব নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তবে তারা এই আচরণবিধি সংক্রান্ত কোনো সংশোধনীর প্রয়োজন থাকলে, তা সংশোধিত করে আবারও প্রকাশ করার আহ্বান জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা বলেন, নির্বাচন কমিশনার যদি তাদের এই আহ্বানগুলো নজরে আনেন এবং আগে থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে।
তারা আরও বলেন, ‘ফলাফল যেমনই আসুক না কেন, আমরা সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট তা মেনে নিতে প্রস্তুত।’
এ সময় নির্বাচনের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানায় শিবির সমর্থিত এই প্যানেল।
রাকসু নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন। যা মোট ভোটারের ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু প্রার্থীর ক্ষেত্রে এ হার একেবারেই কম। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৩টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ২৪৮ জন। এর মধ্যে মাত্র ২৫ জন নারী, যা মোট প্রার্থীর ১০ শতাংশ।
সিনেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নির্বাচনে ৫৮ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী মাত্র ৮ জন, যা ১৩.৭ শতাংশ। হল সংসদে ২৫৫টি পদের মধ্যে ছাত্রীদের ৬টি হলে ৯০টি এবং ছাত্রদের ১১টি হলে ১৬৫টি পদ রয়েছে। মেয়েদের ৯০টি পদের জন্য লড়ছেন ১৩৯ জন। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন ৩৯ জন।
৩৫ বছর পর ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাকসু, সিনেট ও হল সংসদ নির্বাচন। এদিন ৬ টি কেন্দ্রে নারী ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন।
আইকে/এসএন