বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন কমিটির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ বিপিএল আয়োজন। ইতোমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭ নভেম্বর হতে পারে বিপিএলের ড্রাফট।
এ ছাড়া আসন্ন আসরে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য ‘রেভিনিউ শেয়ারিং’ মডেল নিয়ে এসেছে বিসিবি। এদিকে আলোচনায় ছিল ডিসেম্বর জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজন করতে পারলে এপ্রিল-মে মাসে বিকল্প উইন্ডোর কথা ভাববে বিসিবি। কেননা ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান বিপিএল পেছানোর দাবি করেছিলেন।
তবে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন এই সময়টায় বাংলাদেশে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি এফটিপি অনুযায়ী পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ঘরের মাঠে সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। এই সময়ে বিপিএল আয়োজন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন।
এ প্রসঙ্গে আজ (বুধবার) ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বিএসজেএ পরিদর্শন শেষে আমজাদ বলেন, 'বাংলাদেশের জলবায়ু বিবেচনা করলে, এপ্রিল ও মে মাসে সবসময় বৃষ্টি থাকে। এই সময়টি বৈশাখী থাকে এবং পাশাপাশি বর্ষার সময়ও শুরু হয়। আরেকটি বিষয় হলো, আমাদের এফটিপি প্ল্যানে ঐ সময়ে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হোম সিরিজ আছে। তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই সময়টিতে কোনো নির্দিষ্ট উইন্ডোই নেই।'
ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে। আমজাদ বলেন, 'গত দুই সিজনে আপনার আইএল টি-টোয়েন্টি চলেছে, আর এসএ টোয়েন্টিও হয়েছে। এই দুইবারই আমাদের বিপিএল একই সময়ে আইপিএলের সঙ্গে সমান্তরালভাবে মাঠে গড়িয়েছে। তাই ওভারসিজ প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা প্রভাব পড়েছে, তবে এটা বলা ভুল হবে যে আমাদের কোনো প্লেয়ার আসেনি।'
আইকে/টিএ