রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘ক্রমশ এক জটিল পরিস্থিতির দিকে বাংলাদেশ যাচ্ছে। মানুষকে আশা জাগিয়ে রাখা, উৎসাহ দেওয়া, অনুপ্রাণিত করা, ইতিবাচক কথাবার্তা বলা সেগুলো যারা আমরা কথাবার্তা বলি তাদের প্রধান কাজ। কিন্তু জোর করে সেটা করা খুব একটা ভালো কাজ নয়। সেটা আরো জটিল করে তোলে সমস্যাকে এবং দেশবাসীকেও বা যারা আমাদের কথা শোনেন তাদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে খুব ভালো নির্বাচন আশা করা সম্ভব নয়। নির্বাচনটা আমি ফেব্রুয়ারিতে দেখি না। যদি কোনো নির্বাচন হয়ও সেটা কোনো মানদণ্ডেই একটা নির্বাচন হবে না।
নির্বাচনের ফলাফলও যে যেভাবে দেখছেন সেভাবে হবে মনে করার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনটি নির্বাচনের দিনও ভণ্ডুল হয়ে যাবার আশঙ্কা আছে।’
জিল্লুর বলেন, ‘আমার ক্যাম্পেইনটা প্রধানত ছিল যে, জাতীয় নির্বাচন সবার আগে বাকি সব নির্বাচন তার পরে। আগে আমাদের পলিটিক্সের যে গ্রাউন্ড সেটা সেটেল্ড হোক।
আমরা একটা স্থিতিশীলতার মধ্যে যাই। সেটা কেউ আসলে শোনেননি। আমি নিজে যখন সরকারকে নিরপেক্ষ বলি না তখন অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এখন এনসিপি বলে, এই সরকার নিরপেক্ষ নয়। তারা উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত কথা বলছেন।
উপদেষ্টাদের এক্সিট নিয়েও এনসিপি নেতারা কথা বলছেন।’
জিল্লুর আরো বলেন, ‘উপদেষ্টাদের দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে নানা মাধ্যমে। পত্রপত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়াতে। তাদের যে পারফরমেন্স এবং একটা বড় অংশই যেকোনো দিন বিবেচনা করলে দেখবেন দেশের বাইরে। কেন তারা দেশের বাইরে? তারা কী অর্জন করছেন? দেশের জন্য কী নিয়ে আসলেন?’
এমকে/এসএন