মিডিয়া ছেড়ে দিয়ে বরকত বেড়েছে এক সময়ের আলোচিত মডেল সানাই মাহবুবের। আগে প্রচুর টাকা আয় করতেন, কিন্তু রাখতে পারতেন না। কিন্তু এখন প্রচুর আয় করেন না, কিন্তু প্রচুর টাকা জমে যায়। যা দিয়ে তিনি ঢাকায় জমি ও ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন বলে জানালেন।
সানাই বললেন, ‘বরকত, বরকত কি সেটা আমি হাড়ে-হাড্ডিতে টের পেয়েছি মিডিয়া ছেড়ে দেওয়ার পর। হ্যাঁ, বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকা অবস্থায় মাসে ৬/৭ লাখ টাকা নিম্নে ইনকাম থাকত মিউজিক ভিডিও, নিজের ইউটিউব কন্টেন্ট, ফেসবুক সব মিলিয়ে। কিন্তু আমি সেখান থেকে এক টাকাও জমাতে পারিনি, এক টাকাও না। এমনভাবে আমার সব টাকা খরচ হয়ে যেত যে বলার বাইরে।’
তিনি বলেন, ‘সে সময় আমার হাত খরচ, পার্লার ও জিমে কোনো কোনো মাসে ৫ লাখ টাকাও খরচ হতো। মানে আমি এক পয়সাও জমাতে পারিনি, কিন্তু সব কিছু ছেড়ে যখন আমি কসমেটিকসের বিজনেস ও কর্পোরেট জব শুরু করলাম, নিঃসন্দেহে প্রথমে অনেক কম আয় হতো। আর এটাই স্বাভাবিক, একটা জিনিসকে দাঁড় করাতে সময় লাগে। কিন্তু মাত্র এক থেকে দেড় বছরের মাথায় আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে (না আমার ইনকাম অনেক বেশি না)।
আলোচিত এই মডেলের এখন অনেক আয়। তাই তিনি যে কোনো নিজের আরামের জন্য কিনতে পারেন। এমনটা জানিয়ে বলেন, I can Buy Any luxury হুম আলহামদুলিল্লাহ আমি চাইলে এখন নিজে নিজে ১৫০০ থেকে ৩০০০ স্কয়ার ফিটের একটা ফ্ল্যাট কিনতে পারি, মানে কাস্টোমাইজ করে হলেও কিছু একটা পারব আর কি। আমি চাইলে ঢাকায় ২-৩ বিঘা জমি কিনতে পারি। কারণ ওই যে বরকত! হ্যাঁ, সমস্ত হালাল ইনকামে বরকত আছে। আল্লাহর রহমত আছে।
সানাই মাহবুব বলেন, হ্যাঁ, আল্লাহ এভাবেই হালাল উপার্জনকারীদের সাহায্য করেন, খুব ধীরে ধীরে খুব চুপি চুপি আল্লাহ সাহায্য করেন, হ্যাঁ এটাই বরকত। ঠিক এভাবেই আমি ওমরাহ করতে চাই শিগগিরই। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমি যদি এখন ৩/৪ কোটি টাকার ফ্ল্যাট একা একাই কিনতে পারি, তাহলে অবশ্যই ওমরাহ করার পরে ১০/১৫ কোটি টাকার ফ্ল্যাটও কিনতে পারব ইনশাআল্লাহ। আর হ্যাঁ, এটাই হালাল রুজি উপার্জনকারীদের প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত বড় দান। হ্যাঁ, এটাই বরকত।
হারাম ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সানাই বলেন, যারা অগোচরেও হারাম উপার্জন করছেন যেমন, সুদ খাচ্ছেন বা এরকম কিছু করছেন, তারা ছেড়ে দেন ওই গুমরাহীর জীবন। ছেড়ে দেন ওই সব হারাম ইনকাম। দেখেন আল্লাহ আপনার দুই হাত সম্পদে ভর্তি করে দেবেন। আপনি গুনে শেষ করতে পারবেন না, এক পাপী বান্দীর পক্ষ থেকে এটাই অনুরোধ। না আমি কোনো আল্লাহর ওলি কিংবা হাফেজা না, কিন্তু প্রতিনিয়ত আমি নিজেকে শুধরানোর চেষ্টায় নিয়োজিত আল্লাহর এক গুনাহগার।
কেএন/টিএ