র‍্যাবের ওপর হামলা, সিদ্ধিরগঞ্জে গ্রেপ্তার ১

র‍্যাবের ওপর হামলা করে পালিয়ে থাকা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহেব আলীকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব-১১ ও র‍্যাব-৯-এর যৌথ অভিযানে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থানার মান্নানঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

র‍্যাবের কর্মকর্তারা জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের বউবাজার এলাকায় সাহেব আলীকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায় র‍্যাব-১১ এর একটি দল। অভিযানের সময় সাহেব আলীর নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনী র‍্যাব সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে র‍্যাবের চার সদস্য আহত হন।

হামলার সুযোগে সাহেব আলী পালিয়ে যান এবং তখন থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।

র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি কাজে বাধা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এবং ওই ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা দায়ের রয়েছে সাহেব আলীর নামে।

র‍্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাহেব আলী সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াপদা কলোনী এলাকার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্রবাজি, নারী নির্যাতন, মাদক ব্যবসা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করছিল।

র‍্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাহেব আলী নিজের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে। সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় শোডাউন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বাহিনী দিয়ে মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হতো।

এর আগে ৬ অক্টোবর গাজীপুরের গাছা থানার চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‍্যাব-১১ সাহেব আলীর স্ত্রী, ছেলে ও চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল, শাবল, জাতীয় পরিচয়পত্র ও একাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাবের তথ্য অনুযায়ী, সাহেব আলীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ২০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ডাকাতি ও ছিনতাই ৭টি, মাদক মামলা ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১টি, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও নাশকতা ৩টি, সরকারি কাজে বাধা ৫টি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছদ্মবেশে ডাকাতি ২টি। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

টিজে/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও ঐক্যের অনুপ্রেরণা : গয়েশ্বর Dec 01, 2025
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেছে এনসিপি Dec 01, 2025
img
ঢাকার মালিকানায় শাকিব খান, থাকবেন ম্যাচেও Dec 01, 2025
ব্যর্থ রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টাদের কাছে তারেক চ্যালেঞ্জ: রুমিন ফারহানা Dec 01, 2025
img
দুঃসংবাদ পেল ভারত Dec 01, 2025
img
শুভ ও ঐশীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরালের মাঝেই নতুন খবর! Dec 01, 2025
img
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড Dec 01, 2025
img
আবারও বাড়ল সোনার দাম Dec 01, 2025
img
মায়ের হাত ধরেই উদিতের সুরের যাত্রা শুরু Dec 01, 2025
img
অপপ্রচারের অভিযোগে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত ডাকসু নেতারা Dec 01, 2025
img
কোহলি রোহিতে মুগ্ধ ভারতীয় দলের তারকারা Dec 01, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদির উদ্বেগ, দ্রুত আরোগ্য কামনা Dec 01, 2025
img
বউয়ের ভয়ে অন্য নায়িকাদের সঙ্গে রোম্যান্স করতে হাত কাঁপে : কপিল শর্মা Dec 01, 2025
img
এক বছর পর সুখবর দিলেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মেহরাব Dec 01, 2025
img
সামান্থার বিয়ের আংটির দাম কত? Dec 01, 2025
img
আমার ক্যারিয়ার দুর্ঘটনার মতো : শাহিদ কাপুর Dec 01, 2025
img
খালেদা জিয়া আপোষহীন না হলে দেশটা ‘ভারতের দখলে চলে যেতে পারত’: তাহের Dec 01, 2025
img
জীবনে আর কখনোই খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন করবো না: ডা. এজাজ Dec 01, 2025
img
নিরাপত্তা উদ্বেগে বিদেশিরা বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী না, দাবি বিকেএমইএ সভাপতির; দ্বিমত উপদেষ্টার Dec 01, 2025
img
ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এনআইডির ৭ সেবা স্থগিত, ৫ পরিবর্তনের সুযোগ Dec 01, 2025