চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ও সোহরাওয়ার্দী হল সংসদের ফলাফল স্থগিত করে প্রশাসন। পরে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে পুনরায় এ দুই সংসদের ভোট গণনা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে এ দুই হলের ভোটগ্রহণ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে শাখা ছাত্রদল। সোহরাওয়ার্দী হলের ফলাফল ঘোষণার পরে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হট্টগোল শুরু করে।
একপর্যায়ে ফলাফল ঘোষণার পরে চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনের পথ অবরুদ্ধ করেন তারা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হন তিনি।
ছাত্রদলের অভিযোগ, সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি পদে তাদের প্রার্থী জমাদিউল আউয়ালকে কারচুপির মাধ্যমে পরাজিত করা হয়েছে। তিনি এক হাজার ২০৩ ভোট পেলেও ছাত্রশিবির-সমর্থিত নেয়ামত উল্লাহ ১ হাজার ২০৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা হন।
অন্যদিকে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলে ভিপি পদে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে রিপুল চাকমা বিজয়ী হন। তিনি ২১৭ ভোট পান, আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিরামন সরকার পান ২১৬ ভোট। এ ফল নিয়েও আপত্তি তোলা হয় এবং পুনরায় গণনার দাবি ওঠে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ও সদস্যসচিব আরিফুল হক বলেন, ফলাফল গণনার কাজ শুরু হয়েছে। এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীদের আবেদন ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা এ দুই হলের ভোট পুনরায় গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
টিজে/এসএন