শত টন পণ্য পুড়ে ছাই হওয়ার আশঙ্কা শাহজালাল বিমানবন্দরে

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে লাগা আগুন ৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আগুন নেভাতে গিয়ে এ পর্যন্ত আনসারের ১৭ জন সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে আমদানি কার্গো ভবনের ২ নম্বর কুরিয়া গেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়ে। পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।


জানা গেছে অগ্নিকাণ্ডে শত শত টন আমদানি করা পণ্যের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

কার্গো ভিলেজ মূলত শুল্কায়ন (কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স) প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের অস্থায়ী সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আমদানি ও রপ্তানির জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা কমপ্লেক্স, যার মধ্যে আজকের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে আমদানি অংশে।

এই কার্গো ভিলেজ মূলত আন্তর্জাতিক আমদানিকৃত পণ্যসামগ্রীর গুদাম হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। এখানে বৈচিত্র্যময় ও উচ্চমূল্যের নানা ধরনের পণ্য সংরক্ষিত থাকে। শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কমপ্লেক্সে যেসব পণ্য সাধারণত রাখা হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী; ইলেকট্রনিকস ও যন্ত্রাংশ (মোবাইল, ল্যাপটপ, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি); তৈরি পোশাক ও কাপড়; হালকা ও মাঝারি মেশিনারি; বাণিজ্যিক কুরিয়ার ও ডকুমেন্টস;। আন্তর্জাতিক অনলাইন কেনাকাটার পণ্য (যেমন-ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে আনা গেজেট, অ্যাকসেসরিজ ইত্যাদি)।

কার্গো ভিলেজে সংরক্ষিত এসব পণ্যের আর্থিক মূল্য কোটি কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানি করা ওষুধ, ইলেকট্রনিক পণ্য ও অন্যান্য সামগ্রীর কারণে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন, এমনটাই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিমা কাভারেজ থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের দাবি নিষ্পত্তি করতে দীর্ঘ সময় লাগে, ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ৬ ঘণ্টা পর বিমান চলাচল শুরু Oct 18, 2025
img
আফগানদের না বলায় পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজে সুযোগ পেল জিম্বাবুয়ে Oct 18, 2025
img
আহত জুলাই যোদ্ধা আতিকুলের সার্বিক খোঁজ নিলেন নাহিদ ইসলাম Oct 18, 2025
img
আরাউহোর শেষের গোলে রোমাঞ্চকর জয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা Oct 18, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি Oct 18, 2025
img
রেকর্ডগড়া বোলিংয়ে বাংলাদেশকে জেতালেন রিশাদ, ম্যাচশেষে আবেগঘন প্রতিক্রিয়া Oct 18, 2025
img
মিষ্টি কম দেয়া নিয়ে টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষ Oct 18, 2025
img
আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের আপিল প্রত্যাখ্যান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল Oct 18, 2025
img
‘জুবিনদা আমার কণ্ঠ ছিলেন’ মন্তব্যে কটাক্ষের মুখে দেব Oct 18, 2025
img
তারকাদের ইনজুরিতে নতুনদের সুযোগ দেখছেন বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক Oct 18, 2025
img
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস Oct 18, 2025
img
জনগণের বিশ্বাস অগ্নিকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত: ফখরুল Oct 18, 2025
img
তদন্ত শেষে বোঝা যাবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি Oct 18, 2025
সুস্থতার জন্য নবীজি যে আমল করতেন | ইসলামিক টিপস Oct 18, 2025
সালমানের চোখে ভবিষ্যতের সুপারস্টার আরিয়ান খান Oct 18, 2025
সবার সামনে রিয়া মনিকে তালাক দিলেন হিরো আলম! Oct 18, 2025
প্রস্তুত করা হচ্ছে রাকসু ভবন, রোববার বসতে পারবেন নির্বাচিতরা Oct 18, 2025
img
২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি : বিজিএমইএ সভাপতি Oct 18, 2025
img
অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে বলকান অঞ্চলে ব্রিটিশ সীমান্তরক্ষী Oct 18, 2025
img
আবুধাবি টি-১০ লিগে দল পেলেন নাহিদ ও সাইফ Oct 18, 2025