রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, জুলাই সনদ ঘিরে গণভোট রাষ্ট্রকে এক ব্যতিক্রমী সমীকরণে বসিয়েছে। এই সমীকরণে আইন, রাজনীতি, সামরিক নাগরিক সম্পর্ক, নির্বাচন ও জনমতের প্রতিটি চলকই সংবেদনশীল। একটি ভুল পদক্ষেপ পুরো প্রক্রিয়াকে অবিশ্বাসের খাদে নামিয়ে দিতে পারে। আইনি সংশোধন, রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং গণভোটের ক্যালকুলাস সব মিলিয়ে এখনকার সংকেত যে জটিল তাতে সন্দেহ নেই।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, জুলাই সনদ সংস্কার প্যাকেজের রাজনৈতিক বৈধতা অর্জনে গণভোটকে সামনে আনা হয়েছে। কে আগে কে পরে এই সময়সূচি নিয়ে দলগুলোর অবস্থান অভিন্ন নয়। কেউ নির্বাচনসঙ্গী গণভোটে আগ্রহী, কেউ আলাদা সময় চাইছে।
প্রশাসনিক সক্ষমতা, নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, ব্যয় এবং ভোটার শিক্ষার যুক্তি- সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাঁধে দ্বৈত চাপ।
তিনি বলেন, গণভোটের দর্শনগত তাৎপর্য বড়। দীর্ঘদিনের বিভক্ত জনমতকে একটি স্পষ্ট হ্যাঁ-না ফ্রেমে এনে রাষ্ট্রের রূপান্তরের ভিত্তি গঠন। শর্ত একটাই প্রশ্নপত্রের নকশা যেন গণতান্ত্রিক সুবিচারকে খর্ব না করে।
এমনভাবে প্রশ্ন সাজাতে হবে যাতে নাগরিক একসঙ্গে বিপরীতমুখী প্রস্তাবে হ্যাঁ বলার ফাঁদে না পারেন। আবার যেটাতে সমর্থন আছে সেটা না ভোটে বাতিল না হয়ে যায়।
জিল্লুর আরো বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া গণভোট কেবল সংখ্যার খেলা। অথচ সংবিধান জাতির ঐক্যের দলিল। সংখ্যাগরিষ্ঠের নকশা নয়।
এখানেই বিচার প্রক্রিয়া ও গণভোটের সংযোগ। ট্রাইবুনাল যদি ব্যক্তিদায় নির্ধারণে যত্নবান হয় আর গণভোট যদি পদ্ধতিগতভাবে ন্যায়পরায়ণ হয় তাহলে এই দুটো ট্র্যাক মিলেই বৈধতা সংকট কাটানোর পথে রাষ্ট্র এগোয়।
কেএন/টিকে