বক্সের ঠিক বাইরে সাদিও মানের কাছ থেকে বল পেলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সামনে থাকা ডিফেন্ডারকে কাটানোর চেষ্টা করলেন একটু। এরপর আলতো টোকায় বল ডান দিকে একটু সরিয়ে আচমকা শট নিয়ে নিলেন। রকেট গতির সেই কোনাকুনি শট গোলকিপারকে কোনো সুযোগ না দিয়ে আশ্রয় নিল জালে।
অথচ তখন এক মিনিটও হয়নি, রোনালদোকে হতাশ করেছিলেন গোলকিপার আমিন আল-বুখারি। পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন আল নাস্র তারকা। কিন্তু শটে খুব জোর ছিল না তার। বাঁদিকে ঝাপিয়ে তা ফিরিয়ে দিতে খুব সমস্যা হয়নি আল-বুখারির।
সেটি পুষিয়ে দিতে খুব একটা সময় নেননি রোনালদো। মিনিট না ঘুরতেই করলেন চোখধাঁধানো এক গোল। তার গোটা ক্যারিয়ারের এক টুকরো প্রতিচ্ছবি যেন। ব্যর্থতায় তিনি মুষড়ে পড়েন না, বরং ঘুরে দাঁড়ান প্রবল দাপটে।
ম্যাচের নায়ক অবশ্য জোয়াও ফেলিক্স। আরও একটি হ্যাটট্রিক উপহার দেন রোনালদোর দেশের ফরোয়ার্ড। সৌদি প্রো লিগে আল ফাতেহকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয় আল নাসর।
প্রথমার্ধে আল নাসর এগিয়ে ছিল কেবল ১-০ গোলে। বক্সের বাইরে থেকেই ত্রয়োদশ মিনিটে দারুণ শটে গোলটি করেন ফেলিক্স। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বক্সের বাইরে থেকে রোনালদোর দুর্দান্ত শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ফিরতি বল জালে পাঠাতে পারেননি ফেলিক্স।
৫৪তম মিনিটে সমতায় ফেরে আল ফাতেহ। পাঁচ মিনিট পরই রোনালদোর সামনে সুযোগ আসে দলকে এগিয়ে নেওয়ার। কিন্তু কদিন আগে দেশের হয়ে পেনাল্টিতে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার ক্লাবের জার্সিতেও সেই তেতো স্বাদ পান তিনি। পরে মিনিট না ঘুরতেই সেই বুলেট গতির শটে গোল।
গোলটি করেই বাঁধনহারা উদযাপনে মেতে ওঠেন তিনি, জার্সি খুলে উঁচিয়ে ধরেন দর্শকদের দিকে। হাজার গোলের স্বপ্ন পূরণের পথে কিংবদন্তির গোল হলো এখন ৯৪৯টি।
আট মিনিট পর আল নাস্রকে আরও এগিয়ে নেন ফেলিক্স। ৭৫তম মিনিটে গোল করেন এই মৌসুমেই দলে যোগ দেওয়া আরেক তারকা কিংসলে কোমান। ৭৯তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ফেলিক্স।
সৌদি লিগে ৫ ম্যাচেই দুটি হ্যাটট্রিক করে ফেললেন ২৫ বছর বয়সী তারকা।
৫ ম্যাচে পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আল নাসর।
এমআর/এসএন