জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, ‘এনসিপি যদি শাপলা পায়, আমি মনে করব এই নির্বাচন কমিশন ইলেকশন করার সব যোগ্যতা হারাবে। এটা আমার বিবেচনা।’
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো উদাহরণ আছে কি না সেটা বলেন। কোনো পলিটিক্যাল পার্টির চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন কি প্রতীক দিতে পারে, যেটা নিয়মেই নেই? কোনো পলিটিক্যাল পার্টি চাইছে আমি এই প্রতীক চাই।
নির্বাচন কমিশন বলছে, এসব আছে, আপনি এর মধ্যে একটা বাছাই করে নেন। তারা একটা বেছে নিয়েছে।’
‘কিন্তু এনসিপি বলছে-এটা নেব না, এটা ছাড়া করব না, এটা ছাড়া নিবন্ধন নেব না; এ ধরনের কথা বলার কোনো উদাহরণ কি আছে? আমার মনে পড়ে না, থাকতে পারে, আমার স্মৃতিভ্রম হতে পারে। তারপরও যদি তারা শাপলা পায়, তাহলে বুঝতে হবে এটা বিশেষ বিবেচনায় দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষ বিবেচনায় গেলেই এটা ওদের লস হবে।’
মাসুদ কামাল বলেন, ‘প্রতীক কোনো ইস্যু না, প্রতীক কোনো ফ্যাক্টর না। মূল কথা হলো, আপনি জনগণের কাছে কতটুকু যেতে পারছেন। এনসিপিকে নিয়ে জনগণের মধ্যে অনেক প্রত্যাশা ছিল।
আমার নিজেরও প্রত্যাশা ছিল। আমি ভেবেছিলাম, এরা হয়তো একটা বিকল্প শক্তি হিসেবে আসবে, নতুন একটা রাজনীতি নিয়ে আসবে। এ রকম একটা আশা ছিল। কিন্তু তাদের কয়েকজন নেতা তাদের ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে পুরো দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এনসিপির ঘুরে দাঁড়ানোর সময় আছে। নতুন দল, তরুণ নেতা। তাদের এটা প্রথম নির্বাচন, এটাতে তারা বিশাল কিছু করে ফেলবে বলে আমি মনে করি না, তার প্রয়োজনও নেই। একটু সময় নিয়ে এগিয়ে যাক। আমি মনে করি এনসিপি আগামীতে ভালো করবে।’
টিজে/টিকে