মসজিদে কোরআন পাঠের ক্লাসকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী সদর উপজেলায় ছাত্রশিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
রোববার (১৯ অক্টোবর) তিনি নিজের ফেসবুক পেজে এক প্রতিবাদমূলক স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, গতকাল কবিরহাটে আর আজ সদরের নেওয়াজপুরে- নোয়াখালীর রাজনৈতিক সম্প্রীতিতে এটা কেমন অশুভ ছায়া! যারা ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, তারা হাসিনার পরিণতির জন্য অপেক্ষা করুক। ধর্মীয় স্থাপনাগুলোকে রাজনৈতিক কর্মসূচির আওতার বাইরে রাখা উচিত। আবার, এমন কর্মসূচি হলেও সেখানে হামলা চালানোর অধিকার কারও নেই। প্রশাসন আছে, সরকার আছে। গুন্ডামি আর রাজনীতি একসঙ্গে চলতে পারে না।
বিএনপির সিনিয়র নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হান্নান মাসউদ বলেন, আপনাদের নেতাকর্মীদের এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখুন। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও অনুরোধ থাকবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে রাখুন। এটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠার বড় বাধা।
হান্নান মাসউদের স্ট্যাটাসের নিচে মিনহাজুল আবেদিন নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, জামায়াত বা শিবিরের কুরআন ও ইফতার প্রোগ্রাম অধিকাংশ মসজিদে হয়। বিএনপির দোয়া ও ইফতার প্রোগ্রামও হয় মসজিদে। কিন্তু কখনো শুনিনি বা দেখিনি জামায়াত বা শিবিরের কেউ তাদের ওপর হামলা করেছে। কিন্তু আজ নোয়াখালীতে যা ঘটেছে, তা খুবই হিংসাত্মক মানসিকতা থেকে করা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কোনো রাজনৈতিক দলই মসজিদে ভালো কিছুর জন্য দোয়া বা উদ্যোগ নিতে পারবে না। এটা একপক্ষের জন্য নয়, বরং উভয়ের জন্য হুমকি।
একই পোস্টে ফারাবি চৌধুরী ফাহিম মন্তব্য করেন, মসজিদ কি দলীয় অফিস, যে সেখানে গিয়ে রাজনীতি করতে হবে? অন্যদিকে সৌরাব উদ্দিন কাজল লিখেন, মসজিদকে যদি দলীয় কার্যালয় না বানানো হতো, তাহলে এমন হামলার ঘটনাও ঘটতো না।
দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে আব্দুল হান্নান মাসউদ তার স্ট্যাটাসের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্মীয় স্থাপনাগুলোকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা যেমন জরুরি, তেমনি ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোও অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রশাসন ও সরকার রয়েছে, তারপরও গুন্ডামি ও রাজনীতি একসঙ্গে চলতে পারে না।
এসএস/এসএন