ঘানায় ভুয়া স্কাউটদের প্রলোভনে পড়ে অপহৃত গোলরক্ষক শেখ তোরেকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। ১৮ বছর বয়সী সেনেগালিজ গোলরক্ষককে এই প্রজন্মের অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে ধরা হচ্ছিল।
ঘানার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার পরিবার মুক্তিপণ জোগাড় করতে না পারায় এই ফুটবলারকে হত্যা করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো সেনেগালের ফুটবল অঙ্গনে।
সেনেগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই গোলরক্ষকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। ঘানায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
‘এসপ্রি ফুট ইয়েমবেল’ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেওয়া শেখকে একদল অস্ত্রধারী প্রতারক ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে। তারা তাকে জানায়, বিদেশি এক ক্লাবে ট্রায়াল দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
এই প্রলোভনেই তিনি ঘানা যান।
এরপর শেখকে জিম্মি করে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরিবার সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও টাকা জোগাড় করতে পারেনি, আর শেষ পর্যন্ত অপহরণকারীরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নির্মমভাবে হত্যা করে তরুণ ফুটবলারকে।
সেনেগাল ও ঘানার যৌথ উদ্যোগে এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
শেখের মরদেহ সেনেগালে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে ফরাসি গণমাধ্যম ‘ফ্রেঞ্চ ফুটবল উইকলি’।
সেনেগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র শেখের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘এই তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও মনোযোগ দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে।’
কর্তৃপক্ষ তরুণ ফুটবলার, অভিভাবক ও ক্লাব কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে বলেছে, ‘বিদেশে ট্রায়াল বা ট্রান্সফারের প্রস্তাব পেলে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করতে হবে এবং সরকারি চ্যানেল ব্যবহার করতে হবে।’
একই বিবৃতিতে তরুণ ক্রীড়াবিদদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, ‘যে কোনো বিদেশ সফরের আগে অবশ্যই ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।’
টিকে/