মিরপুরের কালো উইকেটে স্পিন ছাড়া বিকল্প নেই-এটা প্রথম ওয়ানডের পর আর বুঝতে বাকি নেই সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এ কারণে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগেই উড়িয়ে আনা হয় বিশেষজ্ঞ স্পিনার আকিল হোসেনকে। এ ছাড়া আজ দুই স্পিনার দিয়ে বোলিং ইনিংস শুরু করে ক্যারিবীয়রা। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার এমন ঘটনা দেখা গেল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বোলিং শুরু করেন বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন ও ডানহাতি রোস্টন চেজ। নিজেদের ইতিহাসে ওয়ানডে প্রথমবার প্রথম পাওয়ার প্লের পুরো ১০ ওভার স্পিনার ব্যবহার করে সফরকারীরা। ৫ ওভার করেন একমাত্র উইকেটটি নেওয়া আকিল হোসেন। ৪ ওভার করেন রোস্টন চেজ। অন্য ওভারটি করেন খ্যারি পিয়ের।
এদিকে, মিরপুরের ‘বধ্যভূমিতে’ চার স্পিনার নিয়ে দল সাজিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশও। বাংলাদেশ সবশেষ কবে চার স্পিনার নিয়ে খেলেছে–তা জানতে ফিরতে হবে ২০২২ সালের ১৬ জুলাইয়ে। কাকতালীয়ভাবে ওই ম্যাচেও টাইগারদের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে হওয়া সেই ম্যাচেও বাংলাদেশ চার স্পিনার নিয়ে নেমেছিল। পেসার ছিলেন কেবল মুস্তাফিজুর রহমান। আজও বাংলাদেশের একাদশে তিনিই একমাত্র বিশেষজ্ঞ পেসার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চার স্পিনার নিয়ে খেলা ওই সময়ের ব্যবধান ৩ বছর ৩ মাস এবং দিনের হিসেবে ১ হাজার ১৯৩ দিন। ম্যাচটিতে তাইজুল ইসলাম ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন। তার ঘূর্ণিতে মাত্র ১৬৮ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক ক্যারিবীয়রা। সেই ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৪ উইকেট এবং ৯ বল হাতে রেখে। টাইগাররা আজ একাদশে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে নিয়েছে নাসুম আহমেদ ও তানভীর ইসলামকে। এ ছাড়া স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন। পার্টটাইমার হিসেবে সাইফ হাসানকেও কাজে লাগাতে পারবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ওপেনার সৌম্য সরকারকে রেখে একে একে সাজঘরে ফিরেছেন সাইফ হাসান, তিনে নামা তাওহীদ হৃদয়, চারে নামা নাজমুল শান্ত এবং সর্বশেষ মাহিদুল অঙ্কন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০১ রানে ব্যাট করছে। ক্রিজে থাকা সৌম্য অপরাজিত আছেন ৪৪ রানে। তার সঙ্গী হিসেবে আছেন মিরাজ। এর আগে ছন্দে থাকা সাইফ হাসান ৬ রান করে আউট হয়েছেন। মিরপুরের দুই ওয়ানডে ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ফিফটি করা তাওহীদ হৃদয় ১২ রান করে আউট হয়েছেন। নাজমুল শান্ত দুই চারের শটে ১৫ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরেছেন।
এসএস/এসএন