চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেক প্রত্যাখ্যান (ডিজঅনার) মামলায় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) আ বা মো. নাহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
রফিকুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার প্রফেসরপাড়ার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
পরে এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি মিথ্যা মামলা ছিল। আমি এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে পাওয়া যায়, মামলার বাদী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী হাম্মাদ আলী। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন। রফিকুল ইসলাম ব্যবসায়িক প্রয়োজনের কথা বলে বাদীর কাছ থেকে কিছুদিনের জন্য ৪০ লাখ টাকা ধার নেন। তিনি টাকা পরিশোধ করেননি। বাদী জোর তাগাদা দিতে থাকেন। একপর্যায়ে রফিকুল ইসলাম ১০ লাখ টাকা করে প্রাইম ব্যাংকের চারটি চেক দেন। চেকগুলো সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখায় জমা করলে উল্লেখিত হিসাবে (অ্যাকাউন্টে) সেই পরিমাণ টাকা না থাকায় সেগুলো প্রত্যাখ্যান করা হয়।
বাদীর আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘১২ বছরেরও বেশি সময় পর আদালত মামলার রায় দিয়েছেন। রফিকুল ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডÐও চেকে উল্লেখিত ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
এ ব্যাপার পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, রফিকুল ইসলাম এখন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টের আওতাভুক্ত। আদালত থেকে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
এসএন