ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দুই দিনব্যাপী মেহেদি উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা ইবি শাখা। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা সংলগ্ন এলাকায় উৎসবটি শুরু করা হয়। এ উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে সংগঠনটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যে এ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এতে অংশগ্রহণ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অনেকে। ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিমা খান বলেন, ছাত্রী সংস্থার উদ্যোগে সুন্দর একটি আয়োজন করা হয়েছে। এখানে এসে আমার খুব ভালো লাগছে। সব মেয়েরা এসে মেহেদি পরছে, একে অপরকে মেহেদি লাগিয়ে দিচ্ছে। ব্যাপারটা খুবই উপভোগ্য। এর মাধ্যমে আমাদের মেয়েদের মধ্যে বন্ধুত্ব-বন্ডিংটা আরও স্ট্রং হবে। আশা করছি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতির চর্চাগুলো আরও ভালোভাবে প্রচার হবে। ছাত্রী সংস্থার উদ্যোগে যে এমন একটা আয়োজন হতে পারে, এটা আমি প্রথম দেখলাম।
মহিমা খান আরও বলেন, আমি আগে জানতাম তারা পর্দা মেইনটেইন করে, ওদের আলাদা বই আছে এবং তারা ইসলামী বই পড়ে। এ ছাড়া সেখানে যে কেউ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না। তারা যে এ আয়োজনের মাধ্যমে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করছে, যেখানে কোনো ধর্ম নেই, যে কোনো ধর্মের মানুষ এসে এখানে তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারছে এটা খুবই ভালো। আমার খুব ভালো লেগেছে।
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অপর এক শিক্ষার্থী মরিয়ম খাতুন বলেন, আজকে ইসলামী ছাত্র সংস্থার আয়োজিত মেহেদি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি এবং আমার খুবই ভালো লাগছে। আশা করছি, ভবিষ্যতেও এ সংস্থা আরও সুন্দর সুন্দর কাজ আমাদের উপহার দেবে।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে প্রকাশ্যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পায়নি বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর প্রকাশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হলেও মিডিয়াকে তা জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সংস্থার সভানেত্রী ইয়াসমিন আক্তার।
ছাত্রীসংস্থা ইবি শাখার সভানেত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রীসংস্থা, ইবি শাখার উদ্যোগে সুস্থ সংস্কৃতিচর্চার উদ্দেশ্যে শুধু ছাত্রীদের নিয়ে এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন। মেহেদি উৎসবসহ আরও অনেক আয়োজনের নিয়মিত আয়োজক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রীসংস্থা।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ে এ ধরনের আয়োজনে বিস্তৃত পরিসরে ছাত্রীদের সম্পৃক্ততায় আনা সম্ভব হয়নি। ফ্যাসিস্ট পরবর্তী সময়ে এসে আমরা ছাত্রীদের নিয়ে নানা কার্যক্রম করার চেষ্টা করছি এবং সামনের দিনগুলোতেও এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা এর মাধ্যমে ছাত্রীবোনদের সাথে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই।
এসএস/এসএন