ফ্যাসিবাদী ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগকে ফেরানোর অপচেষ্টা করা হলে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওই পোস্টে তিনি জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের পেজ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বিজিবির গুলিতে প্রাণ হারানোর পর এক নিষ্পাপ শিশু রাস্তায় পড়ে থাকে। যেটি মূলত রামপুরার বনশ্রী আবাসিক এরিয়ার এফ ব্লক এলাকার ঘটনা ছিল।
ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে ক্যাপশনে এনসিপি নেতা শিশির লেখেন ‘রক্তাক্ত জুলাই। খুনিদের বিচার চাই। আওয়ামী লীগকে ফেরানোর অপচেষ্টার দাতঁ ভাঙা জবাব দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।’
এর আগে, ১৯ অক্টোবর দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে একই সময়ে এতো আগুনের ঘটনা পর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্র মনে হচ্ছে।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা আগুন নিয়ে খেলায় নেমেছে। ভয়ংকর খেলায়। ‘আগুনলীগ’কে মোকাবিলা করতে হবে।’ শিশির বলেন, ‘বাংলাদেশকে অকার্যকরী রাষ্ট্রে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ ও তাদের দেশি-বিদেশি এজেন্টরা যে সব দুরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনা করে থাকতে পারে:
১. হাইভ্যালু টার্গেট এসাসিনেশন।
২. হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অগ্নিসংযোগ (কেপিআই সহ)।
৩. ধর্মীয় স্থানে অতর্কিত হামলা।
৪. সুউচ্চ ভবনে অগ্নিসংযোগ।
৫. সরকারী স্থাপনায় হামলা।
৬. রপ্তানিমুখী শিল্পের কনসাইনমেন্টে হামলা।
৭. নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দ্রব্যমূল্যের প্রাইস স্যাবোটাজ করার লক্ষ্যে সাপ্লাইচেইনে আঘাত।
৮. বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশন/দূতাবাসে বিদ্রোহ সংঘটন (মিশন/দূতাবাস কর্তৃক অন্তর্বর্তী সরকারের বিপরীতে প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ)।
৯. যে কোনো উপায়ে সামরিক-আধা সামরিক বাহিনীর ভেতর উত্তেজনা সৃষ্টি। বাহিনীর সদস্যদের মাঝে গণহিস্টেরিয়া সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নেতিবাচক প্রচার।
১০. একই সময়ে বিভিন্ন এলাকা/গ্রাম/উপজেলা/জেলায় বিশৃংখলা সৃষ্টি করে সেসব এলাকা দখলে নেয়ার চেষ্টা।
১১. সাইবার আক্রমণ করে ওয়েব নির্ভর বিভিন্ন সেবা ব্যবস্থায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করা। অর্থনৈতিক ট্রানজাকশন অচল করে পুরো অর্থনীতি স্যাবোটাজ করা।
১২. অর্থনৈতিক-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটতরাজ, ভাড়াটে ব্যক্তিদের সহায়তায় কৃত্রিম মবভায়োলেন্স সৃষ্টি।
এসএস/এসএন