২৪০ দিন পর বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা এসেছে তার ব্যাট থেকে। তবে এরপরও সৌম্য আছেন বাদ পড়ার শঙ্কায়। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন তিনি।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ওপেনারদের মধ্যে সবশেষ সেঞ্চুরিটা এসেছে তার ব্যাট থেকে। তিন ইনিংস আগেও তিনি করেছেন ঝলমলে এক ফিফটি।
সেই সৌম্য সরকার অবশ্য খুব অল্পেতেই দল থেকে বাদ পড়ার অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ। এ বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকেও যেমন হয়েছিলেন।
সে কারণে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করার পরেও তিনি আছেন দল থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায়। সেটা এড়াতে দারুণ চেষ্টাই করছেন তিনি। তার ভাষায়, ‘অনেক দিন পর দলে এলে নতুন নতুন লাগে, খাপ খাইয়ে নিতে সময়ও লাগে। যেহেতু পেশাদার খেলোয়াড়, সেহেতু এসেই খেলতে হবে এটাই আমাদের কাজ। যখন সুযোগ পাই, চেষ্টা করি নিজেকে প্রমাণ করার, না করলে তো আবার দলের বাইরে চলে যেতে হবে!’
তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিনিও দলের হারের অন্যতম কারণ। মূল ম্যাচে দুটো ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারেননি। এরপর সুপার ওভারেও একটা ফ্রি হিট থেকে নিয়েছেন মোটে ১ রান। তা তো আছেই, সুপার ওভারেও তো বড় শট খেলতে পারেননি তিনি!
সে কারণে নিজের ব্যর্থতা মাথাপেতে নিয়েছেন তিনি। সৌম্য বলেন, ‘আজকে তিনটা ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারিনি, আগেও এমন হয়েছে। তবে এ নিয়ে কোনো ব্যারিয়ার কাজ করে না।
সুপার ওভারে খেলেছি সেখানে সব বলই ফ্রি হিট, সেখানে আমার ৬ বা বাউন্ডারি মারারই লক্ষ্য ছিল। ওইটা আমি পারিনি, ওখানে আমার কোনো ঘাটতি ছিল বলেই।’
টিজে/এসএন