বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘একটি জাতি, রাষ্ট্র ও সভ্যতা বিনির্মাণের ভিত্তি হচ্ছে তার প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা। এই ভিত্তি দুর্বল বা ঘুণে ধরা হলে জাতির সভ্যতা একদিন ধপাস করে পড়ে যাবে।’ তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ও ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থী সব সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থী সব সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে জাতীয় সেমিনারে’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান ২ কোটি শিশুর শিক্ষায় পশ্চিমা সংস্কৃতি, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডার ও যৌনতাবিষয়ক শিক্ষা ঢুকিয়ে দিয়ে ফাউন্ডেশনকে নষ্ট করার কোনো অধিকার কারো নেই। এটি মুসলিম ঐতিহ্য ও সভ্যতা ধ্বংসের পশ্চিমা ষড়যন্ত্র।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘যেকোনো নীতি-নির্ধারণের আগে প্রশ্ন করতে হয়, আমি কে? আমাদের প্রিয় জন্মভূমির ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ মুসলিম এবং আমাদের ইলাহ মহান আল্লাহ। আমাদের পরিচয় হলো আমরা শেষ নবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) উম্মত।’
তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ্র রাসুল (সা.) নিজেকে শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করে গেছেন এবং শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো মানুষের আখলাক (চরিত্র), নৈতিকতা ও মূল্যবোধ তৈরি করা। মানুষের দেহ, মন ও আত্মার সমন্বিত উন্নয়ন, যা কেবল প্রিয় নবীর সুন্নাহর ভিত্তিতে নাজিলকৃত কিতাবের শিক্ষায় সম্ভব।’
জামায়াত ইসলামের এই সেক্রেটারি জেনারেল প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতির ‘ফাউন্ডেশন’ বা ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ১ লাখ ১৮ হাজার বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ২ কোটি শিশুই আগামী দিনের রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করবে। তাদের মাথায় যদি পশ্চিমা সংস্কৃতির নামে ‘যৌনতা, সমকামিতা, অশ্লীলতা’ ও জাতীয় মূল্যবোধ বিরোধী চেতনা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, তবে এই সভ্যতা একদিন চুরমার হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দুনিয়া দীর্ঘদিনের মুসলিম ঐতিহ্য ও সভ্যতাকে ধসিয়ে দেওয়ার জন্য এই ধরনের শিক্ষানীতি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ও ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থী সব সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান গোলাম পরওয়ার।
টিজে/টিকে