মারা গেছেন বলিউডের অন্যতম কালজয়ী সিনেমা ‘ম্যায় হুঁ না’ খ্যাত অভিনেতা সতীশ শাহ। তার মৃত্যুর খবরে বলিপাড়ায় শোকের ছায়া। অভিনেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তরাও ভীষণ শোকাহত!
হঠাৎ শরীর খারাপ হলে শনিবার সকালে ৭৪ বছর বয়সী এই অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভারতের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অঙ্গন।
বিশেষ করে সতীশের মৃত্যুতে ভক্তরা মনে করছেন তার অন্যতম স্মরণীয়‘ম্যায় হুঁ না’-তে মজার অথচ হৃদয়ছোঁয়া অধ্যাপক রাসাই চরিত্রটি। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন, প্রথমে এই চরিত্রে অভিনয় করতে তিনি রাজি ছিলেন না। সতীশ শাহ নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি অনেকটা অনিচ্ছায় ‘ম্যায় হুঁ না’ করেছিলাম। ফারাহ আর শাহরুখ জোর করেছিল। প্রথমে ওরা আমাকে জিজ্ঞেস করল, প্রিন্সিপাল নাকি প্রফেসরের চরিত্রে অভিনয় করব। আমি বললাম, প্রিন্সিপালের চরিত্র করব। তখন শাহরুখ বলল, ‘সতীশ ভাই, প্রিন্সিপালের চরিত্র যে কেউ করতে পারে, কিন্তু রাসাইয়ের মতো চরিত্রের জন্য আমরা কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না।’”
ফারাহ খান ও শাহরুখ খানের অনুরোধে অবশেষে রাজি হন শাহ। কিন্তু সেটে পৌঁছে তিনি চরিত্রটিকে নিজের মতো করে রূপ দেন। তিনি বলেন,“প্রতিটি দৃশ্যের আগে আমি এক গ্লাস পানি খেয়ে মুখে নিয়ে রাখতাম, তারপর সেটা শাহরুখের ওপর ছিটাতাম! ও হাসি থামাতে পারত না। অনেক দৃশ্যে বারবার রিটেক দিতে হয়েছে। আমি ওকে বলেছিলাম, ‘দেখো, ভুগছো কিন্তু তুমি!’”
শাহরুখ খান, সুস্মিতা সেন ও জায়েদ খানের মতো তারকায় ভরা সেই ছবিতেও সতীশ শাহ নিজের স্বকীয় অভিনয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন। তার চরিত্র- প্রফেসর রাসাই, যিনি ছাত্রদের সঙ্গে হাস্যকরভাবে কথা বলতে গিয়ে বারবার থুথু ফেলেন- দর্শকের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নেয়। ইন্ডিয়াটিভি
ইউটি/টিএ