ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক

ডাকসু পদবী ব্যবহার করে শিক্ষকদের ওপর মবতন্ত্র প্রয়োগ অনাকাঙ্ক্ষিত

ডাকসুর পদবী ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর মবতন্ত্র প্রয়োগ করা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নাসির তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন।

তিনি লেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মহোদয়ের সঙ্গে কয়েকজন ডাকসু নেতা যেভাবে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে অশোভন আচরণ করেছেন তা খুবই নিন্দনীয়। এই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ট্রেজারার মহোদয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বিগত প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার দায় বর্তমান ট্রেজারার মহোদয়ের ওপর চাপিয়ে অযাচিত চাপ সৃষ্টি করা অছাত্রসুলভ ও বিবেকহীন আচরণ। ডাকসুর পদবী ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর মবতন্ত্র প্রয়োগ করা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা তাদের দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক পন্থা অনুসরণ করার আহ্বান জানাই।

ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক লেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের সবার কাছে অগ্রাধিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে ভবঘুরে-উদ্বাস্তু, নেশাগ্রস্ত কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা বীভৎস রোগাক্রান্তদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর তৎপরতা জরুরি। তারা শিক্ষার্থীদের এবং বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। এছাড়াও ক্যাম্পাস এবং আশপাশের জায়গাগুলোতে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা আবশ্যক।

তিনি আরও লেখেন, বিশ্বিবদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনেক অনুমোদিত বা অনুমোদিত বা ভাসমান দোকানপাট রয়েছে। এর বেশিরভাগই শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে। ক্যাম্পাসে দোকান পরিচালনার অনুমোদনের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। একটি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুমোদিত এবং অননুমোদিত দোকানপাট চিহ্নিত করতে হবে। যারা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে স্থায়ী বা অস্থায়ী বা ভাসমান দোকান পরিচালনা করে আসছে তাদের একটি যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া হঠাৎ করে উচ্ছেদ করা সঠিক পদক্ষেপ নয়।

শেষে নাছির লেখেন, প্রশাসনের উচিত এক্ষেত্রে দ্রুত নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে দোকানপাটগুলোকে একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা। অন্যথায়, নিত্যনতুন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ড্যাফোডিলের হামলায় সিটি ইউনিভার্সিটিতে ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে : ভিসি লুৎফর রহমান Oct 27, 2025
img
শাপলা প্রতীক নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব : সারজিস আলম Oct 27, 2025
img
উত্তরা ইপিজেডের ৪ কারখানা বন্ধ ঘোষণা Oct 27, 2025
img
সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের আসামিদের দেশত্যাগ রোধে হিলি চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা Oct 27, 2025
img
ডাকসুর পদবি ব্যবহার করে শিক্ষকদের ওপর মবতন্ত্র প্রয়োগ করা অনাকাঙ্ক্ষিত : নাছির Oct 27, 2025
img
মাহফুজ তার বক্তব্যে প্রমাণ করেছেন, তিনি ওই পদের যোগ্য নন : মাসুদ কামাল Oct 27, 2025
img
না ফেরার দেশে ছাতকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আলী ইনসান Oct 27, 2025
img
নেতানিয়াহু সরকার থাকা অবস্থায় সে দেশে কনসার্ট করবে না 'রেডিওহেড' Oct 27, 2025
img
এমআরআই পরীক্ষা করেছেন ট্রাম্প, সবকিছু ঠিক আছে দাবি Oct 27, 2025
img
পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চায় ঢাকা Oct 27, 2025
img
বিয়ে ছাড়াই ভালো আছি: ইশা সাহা Oct 27, 2025
img
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
পুত্রসন্তানের বাবা হলেন ‘লিডার’ ছবির পরিচালক তপু খান Oct 27, 2025
img
ছেলেকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নীলা চৌধুরী Oct 27, 2025
দরিদ্র হলেই কি জান্নাতে যাওয়া যাবে? | ইসলামিক প্রশ্নোত্তর Oct 27, 2025
পাকিস্তানের রোষানলে সালমান খান Oct 27, 2025
বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে, মানুষ ঘুমাতে পারবে না : ফয়জুল করিম Oct 27, 2025
রাতভর সংঘর্ষের পর আতঙ্কে ক্যাম্পাস ছাড়ছেন সিটি ইউনিভার্সিটির নারী শিক্ষার্থীরা! Oct 27, 2025
আফগানিস্তান-পাকিস্তান আলোচনার মধ্যেই সংঘর্ষে নিহত ৩০ Oct 27, 2025
রাতভর সংঘর্ষের পর সিটি ইউনিভার্সিটি যেন এখন ধ্বংসস্তূপ! Oct 27, 2025